কলকাতা: সংক্রমণ ছড়াতে না দেওয়াই হল করোনাভাইরাস মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র। তাই মারণ এই ভাইরাস-মোকাবিলায় সতর্ক প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একাধিক রাজ্যের সীমানা রয়েছে। সেইসব সীমানা দিয়ে করোনা সংক্রমিত কেউ যাতে এ রাজ্যে প্রবেশ করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে না যেতে পারে, তারজন্য চলছে নজরদারি।

পুরুলিয়া-ঝাড়খণ্ড সীমানার পুরুলিয়ার নিতুরিয়ায় ঝাড়খণ্ড সীমানায় নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের দল। দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বিলি করা হচ্ছে লিফলেট। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি রাখা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স।

পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা ও ওড়িশা সীমানায় নজরদারি চালাচ্ছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। গাড়ি থেকে নামিয়ে ওড়িশা থেকে আসা যাত্রীদের করা হচ্ছে থার্মাল স্ক্রিনিং।

সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ কারও থাকলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে পাঠানো হচ্ছে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।

কোচবিহারের বক্সিরহাটে অসম সীমানাতেও চলছে নজরদারি। বাস-সহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে করা হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ও ইসলামপুরে বিহার সীমানায় নজরদারি চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশ। বিহারের দিক থেকে আসা যাত্রীদের করা হচ্ছে থার্মাল স্ক্রিনিং। সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো উপসর্গ থাকলে পাঠানো হচ্ছে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে।

নজরদারির জন্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় লাগলেও, সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকায় সন্তোষপ্রকাশ করেছেন সকলেই।