মোহন দাস, হুগলি: দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু-- দুইই সামান্য কমল। সাতদিন পর দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪ হাজারের নীচে নামল।জাগল আশার আলো।
কিন্তু, পরিসংখ্যান এ-ও বলছে, উদ্বেগ কাটার মতো পরিস্থিতি এখনও বিন্দুমাত্র নেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৮ জন। এরইসঙ্গে দেশজুড়ে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৯০ জনের।
এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের চাহিদাও দিনে দিনে বাড়ছে। সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিন নিতে উদগ্রীব। কিন্তু, পর্যাপ্ত যোগানের অভাবে হন্যে হয়ে ফিরতে হচ্ছে মানুষকে। তার জেরেই রাজ্যে-রাজ্যে, জেলায়-জেলায় চরম হয়রানির শিকার মানুষ।
তেমনই হয়রানির একটি ছবি ধরা পড়েছে হুগলিতে। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ক্ষেত্রে দুর্ভোগের ছবি ধরা পড়েছে গোঘাট ও কামারপুকুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
গোঘাটে ভ্যাকসিন নিতে রাত থেকে লাইন দেন গ্রাহকরা। পরের সকালে গিয়ে দেখা যায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গেট ছাড়িয়ে আরামবাগ-মেদিনীপুর রাজ্য সড়কের ধারে প্রায় ১ কিলোমিটার ধরে রাস্তার পাশে বসে রয়েছেন ভ্যাকসিন গ্রাহকরা।
ভ্যাকসিনের লাইনে বিশৃঙ্খলার ছবি ধরা পড়েছে কামারপুকুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কোথাও দূরত্ব বিধি মানার কোনও লক্ষণ নেই! পাশাপাশি, ভ্যাকসিনের লাইন থেকেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও জোরাল হয়েছে।
এক গ্রাহক বললেন, সোশাল ডিসট্যান্সিং মানব কী করে? আগেও এসেছিলাম, ভ্যাকসিন না নিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। আজ নিয়েই যাব। যত দেরি হোক।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, যে রকম ভ্যাকসিনের যোগান, সেভাবেই দেওয়া হচ্ছে। করোনার জেরে দেশে এখনও অবধি ভারতে হারিয়েছেন ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ২০৭ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১৮.০৪ কোটি মানুষের টিকাকরণ হয়েছে।
অন্যদিকে, কোচবিহার পুলিশ হাসপাতালে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে ফিরে যান। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি নির্দেশ মেনে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে ৮৪ দিন অর্থাৎ ১২ সপ্তাহ পর।