মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: ২০ দিন বন্ধ থাকার পর কার্শিয়ঙের তিনধরিয়ায় ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে পুনরায় শুরু হল স্বাভাবিক যান চলাচল। প্রবল বৃষ্টিতে গতমাসে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতদিন রাস্তা মেরামতের কাজ চলছিল। তা সম্পন্ন হওয়ায় ফের শুরু হয়েছে যান চলাচল।
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শৈলশহর। গত ২৫ তারিখ প্রবল বর্ষণে দার্জিলিঙের রাস্তায় ধস নামে। রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ মাঝখান থেকে ভেঙে ঢুকে গিয়েছিল খাদে।
ফলে, শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার মূল রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। টয়ট্রেনের ট্র্যাকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
ধস নেমেছিল কার্শিয়ঙের তিনধরিয়ায় ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দুটি পয়েন্ট। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার মূল রাস্তা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল একাধিক বাড়ি। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল পাহাড়ের জনজীবন। এরপরই জাতীয় সড়ক মেরামতির কাজ শুরু হয়। ক্ষতিগ্রস্ত টয়ট্রেনের ট্র্যাক পরিদর্শন করেন রেলের আধিকারিকরা।
ধসের জেরে রোহিণী দিয়ে ঘুরপথে কিম্বা মিরিকের রাস্তা ধরে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। এখন প্রায় টানা ২০ দিন বন্ধ থাকার পর ফের খুলে গেল ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক। এর ফলে, স্বস্তি পাবেন পাহাড়বাসী।
কার্শিয়ঙে এরপরও ধস নেমেছে। গত ১১ তারিখ, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কালিম্পঙের ২৯ মাইলে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। প্রায় দু’ঘণ্টা বন্ধ ছিল যান চলাচল।
১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধসের জেরে, সকাল ৭টা থেকে সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাংলা ও সিকিমের। যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায় শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পংয়ের মধ্যেও।
এরপরই বিপর্যস্ত এলাকায় আসেন পূর্ত দফতরের কর্মীরা। ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। ফের শুরু হয় যান চলাচল। তবে বিপদের ফাঁড়া এখনও কাটেনি। আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আর এর জেরে ফের ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে জাতীয় সড়কে।