দার্জিলিং: সকালে ছন্দে ফেরা, ছন্দপতন দুপুরে। বুধবার পাহাড়ে নতুন করে কোনও অশান্তি না হলেও, একদিকে, মোর্চার হুঁশিয়ারি ও অন্যদিকে, পুলিশের টহলদারি ঘিরে ফের অশান্তির কালো মেঘ দার্জিলিংয়ের আকাশে।
সকালের ছবি দেখে বোঝার উপায় ছিল না, পাহাড়ে ফের আন্দোলন শুরু করেছে মোর্চা। এদিন সকালে পাহাড়ে আসেন বেশকিছু পর্যটক। যাঁরা পাহাড়ে ছিলেন, সকাল সকাল ঘুরতে বেরোন তাঁরাও। কিন্তু পাহাড়ের আবহাওয়া বদলাতে সময় লাগে না। সকালের পরিস্থিতি বদলে গেল দুপুরে।
এদিন দুপুরে পাতলেবাসে বসে বিমল গুরুং হুঁশিয়ারি দেন, পুলিশ এভাবে দমনপীড়ন চালালে ফল ভাল হবে না। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সভাপতি বলেন, আন্দোলন যেমন চলছে চলবে। পুলিশ এভাবে দমনপীড়ন নীতি চালালে পাহাড়ে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করা হবে। তল্লাশি করছে অন্যায়ভাবে, কর্মীদের গ্রেফতার করছে, লাঠি চালাচ্ছে। এটা আর মানা হবে না।
মোর্চা সভাপতির এই হুঁশিয়ারির পরেই সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। পাতলেবাস থেকে মালিধূরায় যুব মোর্চার বৈঠকে যোগ দিতে যান গুরুং। খবর পেয়ে, বিশাল পুলিশবাহিনী, সিআরপিএফ, র‍্যাফ নিয়ে মালিধূরার পথে রওনা দেন দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী।
পথে সিংমারিতে মোর্চার সদর দফতরের সামনে গিয়ে বেশকিছুক্ষণ দাঁড়ায় বাহিনী। তবে সেখানে কোনও উত্তেজনা না থাকায় বাহিনী চলে যায় মালিধূরায়। দুপুর তিনটে নাগাদ, যখন মালিধূরার একটি বেসরকারি স্কুলে বৈঠকে বসেছে যুব মোর্চা, তখন বাইরে টহল দিয়েছে পুলিশ।
দুপুর সাড়ে তিনটেয় পুলিশ চলে যেতেই পাহাড় অচলের হুঁশিয়ারি দেন যুব মোর্চার সভাপতি প্রকাশ গুরুং। ঘোষণা করেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় হবে মিছিল। সেই মিছিল আটকালে ফল হবে মারাত্মক। বলেন, কয়েকদিন ধরেই পুলিশ আসছে, তল্লাশি চালাচ্ছে, চাপ দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। এসব চলবে না। কাল রালি হচ্ছে। আটকানোর চেষ্টা করলে পাহাড় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মালিধূরায় প্রকাশ গুরুং যখন এই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তখন বিশাল পুলিশবাহিনী টহল দিচ্ছে সিংমারি মোর্চার সদর দফরের সামনে।