কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিনের আড়ালে আরও ১টি ইঞ্জেকশন। ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে হাইকোর্টে রাজ্যের হলফনামায় উল্লেখ। ‘অ্যামিক্যাসিন ছাড়াও আরও ১টি ইঞ্জেকশনের ভায়াল ছিল সেখানে। ভায়ালের লাল ঢাকনা বদলে স্পুটনিকের নামে অন্য ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছিল কসবার ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে। জানা গিয়েছে, ট্রায়ামসিনোলোন অ্যাসিটোনাইড ইঞ্জেকশনের ভায়াল ছিল সেগুলি। স্পুটনিকের বদলে ন্যাডিকোর্ট ইঞ্জেকশন ব্যবহার করেছে দেবাঞ্জন।
কী এই ন্যাডিকোর্ট? জানা গিয়েছে স্টেরয়েড হিসেবে ব্যবহার ট্রায়ামসিনোলোন অ্যাসিটোনাইড ইঞ্জেকশন। তবে ভায়ালে ঠিক কী ছিল, তা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। হাইকোর্টে দেওয়া হলফনামায় এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার। এখনও ফরেন্সিক রিপোর্ট আসেনি, জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। স্টেরয়েড দেওয়া হয়ে থাকলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আশঙ্কিত চিকিত্সকরা।
চিকিত্সকরা বলছেন, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ইঞ্জেকশন হল অ্যামিকাসিন। স্টেরয়েড হিসেবে ব্যবহার করা হয় ন্যাডিকোর্ট ইঞ্জেকশন। তাহলে কি ভুয়ো ভ্যাকসিনের আড়ালে ব্যবহার করা হয়েছে ন্যাডিকোর্টও? আশঙ্কিত চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, যদি সুস্থ শরীরে এই ধরনের ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয় তাহলে দেখা দিতে পারে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
চিকিত্সক অজয় সরকার বলছেন, 'সুগার বাড়তে পারে, ত্বক ও চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দীর্ঘদিন থাকতে পারে।' চিকিত্সক দীপ্তেন্দ্র সরকারের কথায়, ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। ক্ষতির সম্ভাবনা আছে।
আগে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছিল, কোভিশিল্ডের স্টিকারের নীচে ছিল অ্যামিকাসিনের স্টিকার। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর কলকাতা হাইকোর্টে ৩টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা দাবি করে আদালত। রাজ্য সরকারের সেই হলফনায় জানা গেল, স্পুটনিকের স্টিকারের নীচে ছিল অন্য একটি ইঞ্জেকশনের স্টিকার।
গত ২৪ জুন ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের কসবার ভুয়ো অফিস থেকে ১২০টি ভায়াল উদ্ধার করা হয়। যার ওপরে লেখা ছিল কোভিশিল্ড। সেই লেবেল তুলতেই বেরিয়ে আসে অ্যামিকাসিন সালফেট ইঞ্জেকশনের স্টিকার। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়ার দিনই দেবাঞ্জন দাবি করেন, তিনি মেহেতা মার্কেট থেকে ভায়ালগুলি কিনেছিলেন।