আসানসোল: প্রশাসনের আপত্তিকে উপেক্ষা করেই আসানসোল পরিদর্শন করল বিজেপির সংসদীয় প্রতিনিধি দল। ঘুরে দেখলেন বিভিন্ন ত্রাণ শিবির। কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের শাসক দলকে। অন্যদিকে, আসানসোলে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। কাল মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল ১৪৪ ধারা।
শনিবার আসানসোল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রবিবার সেখানে হাজির বিজেপির সংসদীয় প্রতিনিধি দল। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেই বিজেপি নেতা-নেত্রীরা ঢুকলেন এলাকায়! সঙ্গে আরও বহু সংখ্যক কর্মী। পুলিশ মাইকিং করে সতর্ক করলেও কার্যত, পাত্তাই দিলেন না বিজেপি কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার পুলিশের বাধার মুখে পড়েছিলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। এদিন অবশ্য বিজেপি নেতাদের আটকায়নি পুলিশ। সকাল সাড়ে ৭টা কলকাতা থেকে আসানসোলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি নেতারা। সংসদীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের জাতীয় মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন, ওম মাথুর, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও বিষ্ণুদয়াল রাম।
রানিগঞ্জের বাঁশড়া মোড় এবং আসানসোলের কালীপাহাড়ির কাছে দু’দফায় আটকানো হয় তাঁদের। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু, তা অগ্রাহ্য করেই এগিয়ে যান বিজেপি নেতারা। শাহনাওয়াজ হুসেন বলেন, যা খুশি কর, আমরা যাবই।
প্রশাসনের আপত্তি উড়িয়ে বিজেপির সংসদীয় প্রতিনিধি দলটি প্রথমে যায় আসানসোল উত্তর থানার কল্যাণপুরে হাউজিংয়ে। শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, হিংসা ঠেকাতে ব্যর্থ সরকার, কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে দিল্লি যাচ্ছেন। এদিকে, বাংলা জ্বলছে।
পরের গন্তব্য আসালসোলের রামকৃষ্ণডাঙাল। নেতাদের হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে ঘরদোরের অবস্থা দেখান ক্ষতিগ্রস্তরা। বিজেপি সাংসদ ওম মাথুর বলেন, বিজেপি সভাপতিকে জানাব বিষয়টি। সরকার ব্যর্থ।
রামনবমীর মিছিল ঘিরে দিন কয়েক আগে প্রথমে অশান্ত হয়ে ওঠে রানিগঞ্জ। আগুনে পোড়ে বাড়ি। রক্ত ঝরে। প্রাণ যায়। এদিন সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও, বিজেপি নেতারা যাননি। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, নতুন করে অশান্তি এড়াতে ইন্টারনেট পরিষেবা ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১৪৪ ধারা বহাল থাকছে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত।