কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা:  ডেঙ্গিতে ফের কলকাতায় মৃত্যু। বিজয়গড়, লেক থানা এলাকার পর আবারও সেই মুরারিপুকুর। ডেঙ্গিতে মৃত্যু ৬ বছরের শিশুর।
মৃতের নাম - তির্যক চক্রবর্তী। কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল তির্যক। সোমবার তাকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভৰ্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার বাইপাসের ধারে আরেক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, বুধবার ভোরে সেখানেই মৃত্যু হয় ৬ বছরের তির্যকের।
কয়েকদিন আগে ডেঙ্গিতে এই মুরারিপুকুরেই, রিয়া সাহা নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। এবার মৃত্যু ৬ বছরের শিশুর। যদিও, এরপরও মেয়রের দাবি, ডেঙ্গি-পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কন্ট্রোলের মধ্যে রয়েছে।
ডেঙ্গির পাশাপাশি শহরে ছড়াচ্ছে জ্বরের আতঙ্কও। রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের বেকার হস্টেলে অনেকে আবাসিকই জ্বরে আক্রান্ত বলে দাবি পড়ুয়াদের। যদিও হস্টেল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এই প্রেক্ষাপটে ডেঙ্গি নিয়ে জল গড়িয়েছে আদালতেও। এদিন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে, জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতির আর্জি জানিয়ে আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, মহামারীর আকার নিয়েছে ডেঙ্গি।
আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ নিক। মৃত ও আক্রান্তদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ক্ষতিপূরণ দিক রাজ্য সরকার। অনুমতি মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার মামলা দায়েরের সম্ভাবনা।



কলকাতার পাশাপাশি, ডেঙ্গি-প্রকোপ অব্যাহত জেলাতেও। উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে ২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। দেগঙ্গার পশ্চিম যাদবপুরে মৃত্যু গৃহবধূর। মৃতের নাম - সায়রা বিবি। মছলন্দপুরে মৃত্যু অজিতকুমার দত্ত নামে এক প্রৌঢ়ের।
শনিবার থেকে জ্বরে ভুগছিলেন দেগঙ্গার পশ্চিম যাদবপুরের বাসিন্দা সায়রা বিবি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সাগরদত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় গৃহবধূর। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।
মছলন্দপুরেও এক ছবি! ২০ অক্টোবর, ধুম জ্বর নিয়ে বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বছর ৬৭-র অজিতকুমার দত্তকে। বুধবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের। এক্ষেত্রেও ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।
সবমিলিয়ে উত্তর ২৪ পরগনায় বাড়ছে ডেঙ্গি-আতঙ্ক।