বিটন চক্রবর্তী, হলদিয়া: হলদিয়া বিধানসভায় হারের জন্য এবার দলীয় নেতৃত্বর উপর ক্ষোভ জানিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি তৃণমূল প্রার্থী স্বপন নস্করের। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই চিঠি। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তবে তিনি নিজে চিঠি লেখেননি বলে দাবি স্বপন নস্করের। দলীয় নেতাদের চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। গোটাটাই শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, কটাক্ষ বিজেপির।


এবারে বিধানসভা নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আসনে জয়লাভ করে তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মসনদে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যজুড়ে অভাবনীয় সাফল্যের মাঝেও হলদি নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা প্রাচীন জনপদ হলদিয়ায় হার হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের। আর সেই হারের জন্য সরাসরি দলিয় নেতৃত্বদের একাংশকেই দায়ি করছেন পরাজিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী স্বপন নস্কর। সম্প্রতি তাঁর সই করা একটি চিঠি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি তার হারের জন্য হলদিয়ার একাধিক তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুলে অভিযোগ জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। যদিও এই চিঠির সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।


 



এই চিঠির সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ


ভাইরাল সেই চিঠির প্রথমেই রয়েছেন হলদিয়া তৃণমুল শহর সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডলে নাম। চিঠিতে বলা হয়েছে, দেবপ্রসাদ মণ্ডল, দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করে অসহযোগিতা করেছেন এমনকী দলীয় সংগঠন বাদ দিয়ে নিজের অনুগামীদের নিয়ে আলাদা সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। পাশাপাশি চিঠিতে এও উল্লেখ করা হয়েছে, দেবপ্রসাদ মণ্ডল নিজে মহিষাদল বিধানসভার টিকিট পেতে ইচ্ছুক ছিলেন। এমনকী সেখানে বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতেও শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি টিকিট না পেয়ে নির্বাচন থেকে তিনি  সরে দাঁড়ান। তবে এই অভিযোগ মানতে চাননি খোদ দেবপ্রসাদ মণ্ডল।


দেবপ্রসাদ মণ্ডলের দাবি, “শুভেন্দু অধিকারীর থেকে টাকা নিয়ে ও প্রার্থী হয়েছিল। সেটা দল বুঝতে পারেনি। নিজের ওয়ার্ডের মানুষ ওঁকে পছন্দ করেন না। বিজেপির কাছ থেকে টাকা খেয়ে হলদিয়াটা ওদের হাতে তুলে দিয়ে এইসব করে এখন বাঁচার চেষ্টা করছে।“  তবে এই চিঠিতে দেবপ্রসাদ মণ্ডল ছাড়াও হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুধাংশু মণ্ডল। জেলা যুব সহ সভাপতি আজগর আলি সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। চিঠি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন তিনি। এর বিরুদ্ধে তিনি দূর্গাচক থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন।


তবে এই চিঠির বিষয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রর বক্তব্য, যে কেউ রাজ্য নেতৃত্বকে কোনো বিষয়ে জানাতে পারেন, তবে তা আগে জেলায় জানালে ভালো হত। এই চিঠি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।