কলকাতা : রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ট্যুইট করলেন রাজ্যপাল। জগদীপ ধনকড় লেখেন, কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এই কোভিড চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবের কাছ তার জবাব পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা ভেবে এই পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কাছে আবেদন জানান। ট্যুইটে লেখেন রাজ্যপাল।
মুখ্যসচিব ও রাজ্যের পদস্থ কর্তাদের দ্রুত তাকে কী ব্যবস্থাগ্রহণ হয়েছে জানানোর পাশাপাশি রাজ্যপাল আরও দুটি প্রস্তাব পেশ করেন। মুখ্যসচিবকে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের সিইওদের সঙ্গে তাঁর উপস্থিতিতে ভিডিও কনফারেন্সিং করার বার্তাও দিয়েছেন রাজ্যপাল। পরে আরও একটি ট্যুইট করে রাজ্যের জারি করা নতুন গাইডলাইনগুলির উল্লেখ করে সেগুলি যাতে কঠোরভাবে পালন করা হয়, সেটা নিশ্চিত করার বার্তাও দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়।
রাজ্যে ক্রমশ বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতির জেরে রাজ্য সরকার বেশ কয়েকদফা নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সংগঠনে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কর্মী উপস্থিতিতে কাজ করতে বলা হয়েছে। বেসরকারি সমস্ত প্রতিষ্ঠানের কাজে বার্তা দেওয়া হয়েছে, যতটা সম্ভব ওয়ার্ক ফ্রম হোম কর্মপদ্ধতি ফেরানোর জন্য। পাশাপাশি মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ববিধি পালন সহ একাধিক একান্ত প্রয়োজনীয় কোভিডবিধি যাতে কঠোরভাবে পালন করা হয় সেটা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়ঙ্কর প্রভাবের কথা ভেবে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ফের নোডাল অফিসারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার জন্য। ইতিমধ্যে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালকে ফের কোভিড রোগীদের জন্য বেড বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। গতবছর করোনার প্রথম ধাক্কার সময় যে সংখ্যক করোনা বেড ছিল হাসপাতালগুলিতে, তার থেকেও সংখ্যা বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।
শনিবার আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৭১৩ জন। মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। একধাক্কায় ৪ হাজার ২৫৩ জন বেড়ে এই মুহূর্তে রাজ্যের অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৪৫ হাজার ৩০০ জনে।