সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জে বাড়ির কাছ থেকে উদ্ধার হল কংগ্রেস নেতার ঝুলন্ত দেহ। তৃণমূলের পতাকা দিয়ে বাঁধা ছিল মুখ। মৃতের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। পরিবারের দাবি, গতকাল সন্ধেয় বেরিয়েছিলেন কংগ্রেসের বুথ সভাপতি। রাতে বাড়ি ফেরেননি। আজ সকালে বাড়ির কাছে আমবাগান থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। মুখে গোঁজা ছিল তৃণমূলের পতাকা। খুনের নেপথ্যে তৃণমূল অথবা বিজেপির হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মৃত কংগ্রেস নেতার পরিবার। তৃণমূলকে বদনাম করতেই পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে, পাল্টা দাবি শাসক শিবিরের। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য মৃতকে বিজেপি নেতা বলে দাবি করেছেন।


মঙ্গলবার ভোরে নিজের বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে মুখে 'তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্ল্যাগ' বাধা অবস্থায় এলাকার কংগ্রেসের বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনা রায়গঞ্জ থানার দক্ষিঁণ বিষ্ণুপুর গ্রামে। মৃত ওই ব্যাক্তির নাম দেবেশ বর্মন ( ৫০)।  খবর পেয়ে পৌঁছেছে  ঘটনাস্থলে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা দেবেশ বর্মন সোমবার রাতে প্রতিদিনের মতো চা খেতে বের হন। রাতে তিনি বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু হয়। সকালে গ্রামবাসীরা বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহটি দেখতে পায়। পরিবারের দাবি, তাঁর মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা জড়ানো ছিল। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।


এদিকে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। দেবেশ বর্মন ২০১৪ সালে ৯ নম্বর গৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি আবার কংগ্রেসের থেকে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বর্তমানে দেবেশ বর্মন কংগ্রেসের বুধ সভাপতি ছিলেন। দেবেশ বর্মন ছেলে বিদ্রোহী বর্মন ও ভাগ্নে ছবিলাল বর্মন জানিয়েছেন, যাঁরা মেরেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এর পেছনে বিরোধিদের হাত রয়েছে। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতারও দাবি দেবেশবাবুকে খুন করা হয়েছে। তৃণমূলের নামে বদনাম করতে মৃতের মুখে তৃণমূলের ফ্ল্যাগ জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দাবি।