পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় শুক্রবার সকালে তরুণকে ইএসআই কামারহাটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের বলা হয় যে, ওই তরুণের সুগার খুব বেশি রয়েছে। তাই এখানে চিকিত্সা হবে না। তাঁদের স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বলা হয়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করানো হয় তাঁদের। শেষপর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের পর নার্সিহোমে রক্ত সংগ্রহ করে কিছুক্ষণ পরে এসে জানানো হয় , তরুণ করোনা আক্রান্ত। তাই এখানে ভর্তি করা যাবে না। তাঁদের কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে ফিরে যেতে বলা হয়। কিন্তু সেখান থেকে তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল হাসপাতালে যেতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের বলা হয় যে, এখানে বেড নেই। ফের ইএসআই কামারহাটিতে ফিরে যেতে বলা হয়।
ইএসআই কামারহাটিতে গিয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন। পরিবারের দাবি, লালবাজারে যোগাযোগ করার পর পুলিশের সহযোগিতায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রোগীকে নিয়ে আসেন তাঁরা।কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, সেখানেও ভোগান্তির শেষ হয়নি। মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে চরম হয়রানির মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। সেখানে জানানো হয়, বেড নেই। দীর্ঘ অপেক্ষার পর যখন তরুণীর মা তর্কবিতর্ক করতে থাকেন এবং চরম পদক্ষেপের হুমকি দেন, তখন একজন এসে জানান যে, ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তরুণের বাবার অভিযোগ, তাঁদের সন্তানকে তাঁরাই স্ট্রেচারে করে ওয়ার্ডে নিয়ে যান। কোনও স্বাস্থ্য কর্মী এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। রাতে ওই তরুণের মৃত্যহয়। পরিবারের অভিযোগ, এ রকম হয়রানির শিকার না হলে তাঁদের পরিবারের একমাত্র সন্তান, এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলের অপেক্ষায় থাকা পরীক্ষার্থীর এভাবে মৃত্যু হত না। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করে দেখা হচ্ছে।