সমীরণ পাল, বনগাঁ: উত্তর চব্বিশ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে ফের ব্যাঘাত ঘটল ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে। কর্মবিরতির জেরে বন্ধ হয়ে গেল রফতানি। সোমবার ওপার বাংলায় গেল না কোনও ট্রাক।


সূত্রের খবর, সম্প্রতি কয়েকজন অসাধু কারবারি ও ট্রাক চালক বাংলাদেশে মাল পাচার করতে গিয়ে বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়েন। তারপর থেকেই বিএসএফ-এর জওয়ানরা কড়াকড়ির নামে তাঁদের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশনের। প্রতিবাদে এদিন কর্মবিরতির ডাক দেয় তারা। বন্ধ হয়ে হয়ে রফতানি। পেট্রাপোলের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও ট্রাক চালকদের বারবার তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি দুর্ব্যবহার করছে বিএসএফ জওয়ানেরা। হেনস্থা করা হচ্ছে। ডিটেনশনে থাকা গাড়ির টাকা নিয়ে যেতে বাধার সৃষ্টি করছে জওয়ানেরা।’


অন্যদিকে বিএসএফ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, নিয়ম মেনেই তল্লাশি চলছে। পেট্রাপোলের সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউজ কর্পোরেশন ম্যানেজার সুপ্রভাত জানিয়েছেন, ‘কিছু দাবি থাকার কারণে তারা কাজে যোগ না দেওয়ার ফলে পেট্রাপোল সীমান্তে বন্ধ রপ্তানি। আমদানি চলছে।’


কর্মবিরতি কতদিন চলবে তা স্পষ্ট করেননি আন্দোলনকারীরা। কিন্তু রফতানি বন্ধ থাকায় কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। 


সম্প্রতি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট এলাকা দিয়ে বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তি, ট্রাক চালক বন্দর দিয়ে বিভিন্ন মাল পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক হয়। তারপর থেকেই বন্দরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শুরু করেছে বিএসএফ। অভিযোগ ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও ট্রাক চালকদের বারবার তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি দুর্ব্যবহার করছে বিএসএফ জওয়ানেরা। হেনস্থা করা হচ্ছে তাদের। ডিটেনশনে থাকা গাড়ির টাকা নিয়ে যেতে বাধার সৃষ্টি করছে জওয়ানেরা। ফলে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। কর্মী সংগঠনের বক্তব্য, তল্লাশিতে তাঁদের আপত্তি নেই। কিন্তু তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। পেট্রাপোল শুল্ক দফতর এবং আইসিপি অথরিটি-কে জানিয়ে কোনও ফল মেলেনি। সেই কারণে আজ তাঁরা কেউ কাজে যোগ দেননি। এই কারণে আই সি পি তিন নম্বর গেটের সামনে মাইক বেঁধে কর্মবিরতি পালন করছেন তাঁরা।