উমেশ তামাং, কালিম্পং: কালিম্পঙের ২৯ মাইলে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের ধস নামলে। যার জেরে আজ সকালে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে জাতীয় সড়কে। ১২ দিনের ব্যবধানে ফের ধস নামল কালিম্পঙের ২৯ মাইলে। শুক্রবার সকালে ধস নামে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির জেরে এই বিপত্তি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। যার জেরে জাতীয় সড়কে স্তব্ধ হয়ে যায় যানবাহন।  এরপরই বিপর্যস্ত এলাকায় আসেন পূর্ত দফতরের কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। ফের শুরু হয় যান চলাচল। এর আগে গত ১১ জুলাই এই ১০ মাইল এলাকাতেই ধস নামে জাতীয় সড়কে। সেদিনও ধসের জেরে ২ ঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। শুক্রবার ফের ধস নামায়, আতঙ্কিত বাসিন্দারা।  বর্ষার মরশুমে ফের ঘটতে পারে এই ধরনের বিপদ, আশঙ্কিত কালিংপঙয়ের বাসিন্দারা। 


এর আগে ২০ দিন বন্ধ থাকার পর কার্শিয়াঙের তিনধরিয়ায় ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছিল। প্রবল বৃষ্টিতে গতমাসে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তা মেরামতের জন্য় দীর্ঘদিন রাস্তা বন্ধ ছিল। প্রবল বৃষ্টিতে বারবারই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শৈল শহরগুলো। গত ২৫ তারিখ প্রবল বর্ষণে দার্জিলিঙের রাস্তায় ধস নামে।  রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ মাঝখান থেকে ভেঙে ঢুকে গিয়েছিল খাদে। ফলে, শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার মূল রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। টয় ট্রেনের ট্র্যাকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। 


ধস নেমেছিল কার্শিয়াঙের তিনধরিয়ায় ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দুটি পয়েন্টে। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার মূল রাস্তা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল একাধিক বাড়ি। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল পাহাড়ের জনজীবন। এরপরই জাতীয় সড়ক মেরামতির কাজ শুরু হয়। ক্ষতিগ্রস্ত টয়ট্রেনের ট্র্যাক পরিদর্শন করেন রেলের আধিকারিকরা। 


ধসের জেরে রোহিণী দিয়ে ঘুরপথে কিম্বা মিরিকের রাস্তা ধরে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। এখন প্রায় টানা ২০ দিন বন্ধ ছিল ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক।