রাণা দাস,কাটোয়া: কলকাতা, শান্তিপুরের পর এবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া। ফের চিনা মাঞ্জায় গুরুতর জখম বাইক আরোহী। গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার পথে কাটোয়া বিদ্যাসাগর পল্লির কাছে গলায় চিনা মাঞ্জা জড়িয়ে যায় বাইক আরোহী ইন্দ্রনীল নাথের। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান ওই যুবক। তাঁকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।


মারণ মাঞ্জা-সুতো।বৃহস্পতিবারই  কলকাতায় তাতেই রক্তাক্ত হয়েছিলেন এক দম্পতি। আরও একবার  ঘটনাস্থল ছিল শহরের সেই মা উড়ালপুল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আট টা নাগাদ মা উড়ালপুলের উপর দিয়ে স্কুটারে চেপে, স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছিলেন দমদমের বাসিন্দা রাজেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। গন্তব্য ছিল জোকা। আহতদের দাবি, আচমকাই উড়ালপুলের ওপর মাঞ্জায় আহত হন এই ব্যক্তি। মাস্ক ছিঁড়ে মুখ কটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, উড়ালপুলের ওপর থেকে ছিটকে পড়েন দম্পতি। আহত দম্পতিকে ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়।


মা উড়ালপুলে বারবার চিনা মাঞ্জায় বিপদ দেখা দিয়েছে। কেএমডিএ-কে পুরো উড়ালপুল নেট দিয়ে ঘিরে ফেলতে আবেদন জানায় কলকাতা পুলিশ। পরীক্ষামূলকভাবে ফ্লাইওভারের দু’দিকে ২৫ ফুট করে ফেন্সিং-ও দেয় কেএমডিএ। পুলিশ সূত্রে খবর, তাতে দেখা গেছে, ওই অংশে দুর্ঘটনা কমেছে। বাকি অংশে এই কাজ নিয়ে  কেএমডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, এনিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। 


ঘুড়ি ওড়াতে চিনা মাঞ্জার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিন্থেটিক সুতোও ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত।  চিনা মাঞ্জার ব্যবহার রুখতে একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।  মাইকে করা হয়েছে প্রচার। তারপরও হুঁশ ফিরছে কোথায়?


এরইমধ্যে কাটোয়ায় চিনা মাঞ্জায় দুর্ঘটনার শিকার হলেন যুবক।  অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যান  ইন্দ্রনীল নাথ নামে ওই বাইক আরোহী। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। 


বিগত কয়েক বছরে চিনা মাঞ্জায় এই বিপদের বেশ কতগুলি খবর সামনে এসেছে। অনেকেই আহত হয়েছেন। এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।