রাণা দাস, কাটোয়া: শূন্য থেকে ১২ বছর বয়সীদের মায়েদের দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন দেওয়াকে কেন্দ্র করেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে হয়রানির অভিযোগ উঠল। মায়েদের দাবি, প্রতিদিন কতজনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তা নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু না জানানোয় এই হয়রানি। লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন না নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে। বাড়িতে ছোট ছোট সন্তানদের রেখে আসায় সাংসারিক সমস্যাও হচ্ছে বলে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের অভিযোগ। পাড়া অথবা বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
অন্যদিকে কলকাতার আরও দুটি সরকারি হাসপাতালে দেখা গেল ভ্যাকসিন হয়রানির ছবি। এনআরএসের ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের দাবি, কেউ এসেছেন রাত ৩টেয়, কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভোর ৫টা থেকে। অভিযোগ, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় বাড়ছে হয়রানি। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালের তরফে মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কলকাতা মেডিক্যালে রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও কুপন মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন ভ্যাকসিন গ্রহীতারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চায়নি।
চলতি সপ্তাহের প্রথমদিনই শহরে সেই ভ্যাকসিন নিয়ে হুড়োহুড়ির ছবি ধরা পড়েছিল। দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট ফায়ার ব্রিগেডের কাছে পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লম্বা লাইন পড়ে। জানা গিয়েছে, কয়েকজনকে কোভিশিল্ডের ডোজ দেওয়ার পর ঘোষণা করা হয়, এবার হরিশ মুখার্জি রোডে জয়হিন্দ ভবনে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এর পরই লাইনে দাঁড়ানো ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের মধ্যে কে আগে পৌঁছবে, তাই নিয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সপ্তাহ শুরুর দিনে এই ভ্যাকসিন-হয়রানির সাক্ষী থাকল মহানগর।
অন্যদিকে, রাজ্যে ভ্যাকসিনের ঘাটতিতে এবার নোটিস দিয়ে সরাসরি কেন্দ্রকে দায়ী করেছে কলকাতা পুরসভা। বাগবাজার পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন গ্রহীতারা। সেখানে নোটিস লেখা, কেন্দ্র না পাঠানোয় ভ্যাকসিন দেওয়া যাচ্ছে না। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন পেতে হয়রানি বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এর জন্য যে কেন্দ্রই দায়ী তা সাধারণ মানুষকে জানাতে বিভিন্ন পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে নোটিশ ঝোলাতে বলা হয়েছে।