কলকাতা: জলের তলায় রাজ্যের একাধিক জেলার বিস্তীর্ণ অংশ। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই বন্যা ম্যানমেড। এরপর না জানিয়ে জল ছাড়লে আইনি ব্যবস্থা নেব, ডিভিসিকে হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিকেল চারটে পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৬৭ হাজার ৮২০ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি।
মঙ্গলবার মালদা ও দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠক শেষে ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী! তাঁর দাবি, এটা ‘ম্যান-মেড’ বন্যা। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করা যায়। কিন্তু আমি বলব, এটা ম্যানমেড বন্যা। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই জল কমিশন ও ডিভিসি যখন তখন জল ছাড়ছে। এটা ছাড়ব না। ওদের বলেছি, এরপর না বলে জল ছাড়লে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমাদের ছাড়া ওদের চলবে না, পরে ওদের সঙ্গে সহযোগিতা করব কিনা, তা নিয়ে ভাবব।
মুখ্যমন্ত্রী যেদিন ডিভিসিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন, সেদিনই বাঁকুড়ার কোতুলপুরে গিয়ে দুর্গত মানুষদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী। ডিভিসর ছাড়া জলে বর্ধমানের রায়না-জামালপুরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। প্লাবিত বহু গ্রাম।
বর্ধমান-কাটোয়া রোডে নরজার কাছে রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে খড়ি নদির জল।
এখনও দুর্ভোগ কাটেনি উদয়নারায়ণপুরের। তিনটি জায়গায় বালির বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হু হু করে ঢুকছে দামোদরের জল। প্লাবিত ৫টি পঞ্চায়েত এলাকা। শুধু চাষের জমিই নয়, বহু বাড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে, ভিড় বাড়ছে ত্রাণ শিবিরগুলিতে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হুগলির খানাকুলেও। জলমগ্ন আরামবাগ ও গোঘাটের বেশকিছু এলাকা। অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। উঠেছে ত্রাণ না মেলার অভিযোগ। বিপর্যস্ত সড়ক যোগাযোগ।
ডিভিসির ছাড়া জলে পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার বিস্তীর্ণ এলাকায়। জলমগ্ন ক্ষীরপাই পুরসভার ৪টি ওয়ার্ড। একই অবস্থা ঘাটালের ১২টি ওয়ার্ডের। জল যন্ত্রণায় গোয়ালতোড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।
প্লাবন ও নদী ভাঙনের জোড়া গেড়োয় মালদার বৈষ্ণবনগরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গার জল...