কলকাতা: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার পরেই বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান মুকুল রায়। আজ পিএসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে মুকুলের নাম ঘোষণা করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
পিএসি চেয়ারম্যান হিসেবে মুকুলের নাম ঘোষণার প্রতিবাদে সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘কোনও বিষয়েই আলোচনার সুযোগ কেউ পায়নি। রীতি অনুযায়ী বিরোধী দল থেকেই পিএসির চেয়ারম্যান হন। সরকারের খরচ করার যেমন অধিকার আছে, তেমনই বিরোধী দলের অধিকার আছে, সেই ব্যয় পরীক্ষা করে খতিয়ে দেখার। শাসক দল তার ক্ষমতা দেখিয়ে সেই রীতি ভঙ্গ করেছে। মুকুল রায়ের নামের প্রস্তাব করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চার সেই প্রস্তাব সমর্থন করেছেন এগরার তৃণমূল বিধায়ক। মুকুল রায়ের নাম প্রস্তাব করেনি বিজেপির কোনও বিধায়ক।’
রাজ্য সরকার ও শাসক দলকে আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা আরও বলেছেন, ‘এই সরকার ক্যাগ রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করেনি। এই সরকার আমফানের দুর্নীতির তদন্ত করে না, তদন্ত হয় কোর্টের নির্দেশে। যত ক্ষমতা আছে ভোগ করুক তৃণমূল, কারণ এবারই ওদের মেয়াদ শেষ। বিধানভায় শাসক-বিরোধী সম্পর্ক ভাঙল শাসকদল। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার লক্ষ্যে বিজেপি অঙ্গীকারবদ্ধ।’
শুভেন্দুর দেহরক্ষীর মৃত্যুতে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল। আমি মাথা নিচু করার লোক নই। আমাকে এসব ভয় দেখিয়ে, পুলিশ দেখিয়ে লাভ নেই। হারের যন্ত্রণা থেকে এসব করছে তৃণমূল।’
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হন মুকুল। তিনি নির্বাচনে জয়ও পান। কিন্তু তারপরেই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। দল বদলালেও, বিধায়ক পদ ছাড়েননি মুকুল। এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, তাঁরা দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করার দাবি জানাবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিধানসভার অধ্যক্ষ মুকুলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।