বহরমপুর:  মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উল্টো সুর অনুব্রত মণ্ডলের গলায়। ষড়যন্ত্র নয়, তিনি মনে করেন, এটা দুর্ঘটনা। নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে সরব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে দলের উল্টো সুর বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির গলায়। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যখন অগ্নিকাণ্ডের পিছনে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করছেন, তখন অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য, এটা দুর্ঘটনা।
অথচ, সোমবার, নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে, মুর্শিদাবাদ অগ্নিকাণ্ডের পিছনে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত মিলেছিল।
তার আগে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও দাবি করেছিলেন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল। কেন আচমকা অকেজো হয়ে গেল? এর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা।

যদিও, রবিবার রামপুরহাটে তৃণমূলের পার্টি অফিসে বসে, অনুব্রত মণ্ডলের গলায় শোনা গেল একেবারে ভিন্ন সুর।

এই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। কিন্তু তাদের তদন্তে এতটুকু ভরসা নেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। এ দিন তিনি ফের অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারের অন্তর্ঘাতের তত্ত্বকে যাতে সিলমোহর দেওয়া যায়, সেই মতোই তদন্ত করছে সিআইডি।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, অধীর চৌধুরী বলেন, এখানে মুখ্যমন্ত্রী অন্তর্ঘাত খুঁজে পাচ্ছেন। তাই গ্রেফতার করল পল্টুকে। শম্ভুনাথ পন্ডিতে আগুন লাগল, সেখানেও কি পল্টু গিয়েছিল? আসলে সব ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা...আমরা ধামাচাপা দিতে দেব না...অবসরপ্রাপ্ত অথবা বর্তমান বিচারপতির নজরদারিতে নিরপেক্ষ তদন্ত হোক..।

এ দিনই আবার, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে, কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন জনৈক আইনজীবী। তাঁর দাবি, প্রকৃত দোষীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করতে হবে।

আবেদনে বলা হয়েছে, আমরি অগ্নিকাণ্ডের রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করে বলেছিল, হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো এবং অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে হবে। সেই মতো কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা আদালতে জানানোর আর্জি জানিয়েছেন আবেদনকারী। রাজ্যের হাসপাতালগুলির অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা সংক্রান্ত রিপোর্টও যেন আদালতে জমা দেয় রাজ্য সরকার, সেই আর্জিও জানানো হয়েছে।

আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।