সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: ভুল চিকিৎসায় এক রোগী মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার পায়রাডাঙ্গা গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম দিব্যেন্দু দাস। তাঁর বয়স চল্লিশ। তিনি রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে অস্থায়ী কর্মী পদে নিযুক্ত ছিলেন। মৃত ব্যক্তির স্ত্রী রিম্পা দাসের অভিযোগ, গত ১৫ অগাস্ট রাত পৌনে নটা নাগাদ স্বামীর গলা ব্যথা অনুভব করে। তখনই তাঁকে স্ক্রুটির পেছনে বসিয়ে পায়রাডাঙ্গায় স্থানীয় একটি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। সেইখানে নিয়ে যাওয়ার পর এক মহিলা চিকিৎসক তার স্বামীর শরীরে একটি ইনজেকশন দেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে যায়। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ভুল ইনজেকশনের কারণেই স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ এনে হাঁসখালি থানায় ১৭ অগাস্ট বিকালে লিখিত অভিযোগ করেন মৃতের স্ত্রী। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। যদিও ওই মেডিকেল সেন্টারের মালিক অশোক মালাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, 'ওই ব্যক্তির একাধিক অসুখ ছিল। যেগুলো আমাদেরকে জানানো হয়নি। এছাড়া পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ওই এলাকার অনেক মানুষ এই প্রতিষ্ঠানটিকে কলুষিত করার জন্য মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন।'
অন্যদিকে ওই মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক অনুজা ভিএস অবশ্য বলেন, 'চিকিৎসকের কাছে কোনও কিছু লুকানো ঠিক নয়। ওই রোগীর আগে স্ট্রোক হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি নিয়মিত মদ্যপান করতেন। সেই সমস্ত বিষয়গুলি আমাদেরকে লুকিয়ে গিয়েছিলেন। তবুও গলা ব্যাথার উপসর্গ নিয়ে রোগীটি দেখার পর, তাঁকে প্রথমে মেডিসিন এবং পরে ব্যথার ইনজেকশন দেওয়া হয়। তবে ভুল ইনজেকশনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়নি।' তবে ওই রোগীর মৃত্যুর পর থেকে পায়রাডাঙ্গার মেডিকেল সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত সব কাজই বন্ধ রয়েছে।