সুজিত মণ্ডল, নদীয়া: অসম্পূর্ণ ড্রেনের কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, তা দেখিয়ে একটি ফলক লাগিয়ে, ওই প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও নির্মাণ সহায়কের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার হাঁসখালি ব্লকের ময়ূরহাট এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়ূরহাট গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায়। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। এছাড়াও নদীয়ার জেলা শাসককেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। রানাঘাট মহকুমা শাসকের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে এই ইস্যুতে। হাঁসখালি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।


 ময়ূরহাট গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় স্বদেশ রায়ের বাড়ি থেকে পরিমল কর্মকারের বাড়ি পর্যন্ত একটি ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে, যার জন্য খরচ হয়েছে ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫০৮ টাকা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই এলাকায় পুরনো একটি ড্রেন আগে থেকেই ছিল। সেই ড্রেনের একটা অংশ সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে। মাসখানেক আগে প্রায় ৩০ মিটার পর্যন্ত নতুন ড্রেনের কাজ করা হয়েছে। অথচ যে বাড়ি পর্যন্ত ট্রেনের কাজ শেষ হওয়ার কথা, সেই পর্যন্ত ট্রেনের কাজ হয়নি। সঠিকভাবে কাজের দাবি তুলে সরকারি বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানানো হয়।


   যদিও এই সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ প্রসঙ্গে ময়ূরহাট এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রামপদ ঘোষ বলেন, 'প্রকল্পের কাজটি সমস্তটাই সঠিক নিয়মে করা হয়েছে। গ্রামের কয়েকজন মানুষ এর আগেও একাধিকবার উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, এবারও তাই করছে। কিন্তু কাজে কোনও অনিয়ম হয়নি। বিনা কারণে এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। '


   অন্যদিকে হাঁসখালি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অমিতাভ ভট্টাচার্য ফোনে জানান, 'একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' সরকারি প্রকল্পের টাকা এই ভাবে আত্মসাত করার অভিযোগ ওঠার পরই এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।