আবির দত্ত ও রাজীব চৌধুরী, কলকাতা: কারও বাড়িতে ছিল চোরাকুঠুরি, লেদ মেশিন।কারও কাছ থেকে মিলেছে ওয়ান শটার। মুর্শিদাবাদ থেকে আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের কাছে কি আরও কিছু লুকনো আছে? তা জানতেই ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গি লিউ ইয়ান আহমেদকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাল এনআইএ।
মঙ্গলবার সকালে ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গিকে নিয়ে প্রথমে ডোমকল থানায় পৌঁছন এনআই অফিসাররা। তারপর পুলিশকর্মী এবং বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে যান লিউ ইয়ান আহমেদের ডোমকলের বাড়িতে।
এনআইএ সূত্রে দাবি, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে।সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জলঙ্গির বাসিন্দা লিউ ইয়ান আহমেদ,ডোমকল কলেজের প্রাক্তন পড়ুয়া।
নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাবল এমএ। ডোমকল কলেজের ইলেকট্রিক বিভাগের কর্মী হিসেবে কাজ করত।


এনআইএ সূত্রে দাবি, জঙ্গি সন্দেহে ধৃত লিউ ইয়ান আহমেদ সোশাল মিডিয়ায় পাকিস্তানের পক্ষে প্রচার করত। ইরানের প্রাক্তন জেনারেল কাশেম সুলেমানিকে দেখত আদর্শ হিসেবে।
মুর্শিদাবাদের গন্ডগ্রামে বসে এই ধৃতরা কি কোনও ছক কষছিল? সেই তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। মঙ্গলবার ধৃত লিউ ইয়ান আহমেদকে নিয়ে ডোমকলের পর জলঙ্গিতেও যান গোয়েন্দারা। এরপর বাকি ধৃতদের নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হবে বলে এনআইএ সূত্রে দাবি।
অন্যদিকে আল কায়দার সহযোগী জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিম বা এবিটি-র ধৃত দুই জঙ্গিকে এদিন সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনাল এনআইএ-এর বিশেষ আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের নাম সাহাদাত হোসেন ওরফে বাবু এবং উমর ফারুখ অরফে মহম্মদ আফতাব খান। দু’জনকেই ২০১৭ সালে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ গ্রেফতার করে। তারপর তদন্তভার হাতে নিয়েছিল এনআইএ।