কলকাতা:  ছত্রধর মাহাতোর গৃহবন্দি থাকার আবেদন খারিজ করল এনআইএ স্পেশাল কোর্ট। জেলেই থাকবেন রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণকাণ্ডে ধৃত ছত্রধরকে। এমনটাই জানাল আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ জুন। হাইকোর্টে আবেদন জানাতে পারেন ছত্রধরের আইনজীবী। 


ছত্রধর চেয়েছিলেন গৃহবন্দি থাকতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র প্রবল বিরোধিতার মুখে মিলল না স্বস্তি। আবেদন খারিজ করে দিল এনআইএ-র বিশেষ আদালত। 


প্রেসিডেন্সি জেলেই থাকতে হবে রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণকাণ্ডে ধৃত ছত্রধর মাহাতোকে। ১৫ জুন আবেদনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। 


শরীর ভালো নেই। তাই, গৃহবন্দি থাকতে চেয়ে শনিবার আইনজীবী মারফৎ নগর দায়রা আদালতে এনআইএ-র বিশেষ কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতো। আবেদনে বলা হয়, ছত্রধর মাহাতো অসুস্থ, বাড়িতে থেকেও তিনি তদন্তে সহযোগিতা করতে পারবেন। 


কিন্তু, তা খারিজ হয়ে যাওয়ায় এবার হাইকোর্টের দারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তাঁর আইনজীবীরা। ছত্রধর মাহাতোর আইনজীবী বলেন, আমরা আবেদন করেছিলাম, শারীরিক অবস্থা ঠিক নেই, তাই আবেদন করেছিলাম, আবেদন মঞ্জুর করেনি। হাইকোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। 


২০০৯-এর ২৭ অক্টোবর ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে ছত্রধর মাহাতোর মুক্তির দাবিতে ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস আটকে দেওয়া হয়। 


সেইসময় ছত্রধর মাহাতোর সংগঠন পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির ৫০০ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ট্রেন আটকানো ও দুই চালককে অপহরণের অভিযোগ ওঠে।


গোটা ঘটনার নেপথ্যে মাওবাদীদের হাত ছিল বলেও অভিযোগ। এনআইএ সূত্রে দাবি, রাজধানী অপহরণকাণ্ডে তাঁদের হাতে যে তথ্য আছে, তাতে ছত্রধরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ জোরাল হয়েছে।


পাশাপাশি, ২০০৯ সালে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনের মামলাতেও তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়। ১১ বছর পর, গত বছরই মুক্তি পান ছত্রধর মাহাতো। এরপর তৃণমূলে যোগ দিয়েই সম্পাদকের পদ পান তিনি।


মাসদুয়েক আগে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইন বা ইউএপিএ-তে ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করা হয়। ঝাড়গ্রামে ভোট মিটতেই ২৮ মার্চ ভোররাতে লালগড়ের বাড়ি থেকে ছত্রধর মাহাতোকে ফের গ্রেফতার করে এনআইএ।