জলপাইগুড়ি: বিয়ের দেড়বছরের মধ্যে পণের দাবিতে জলপাইগুড়িতে অন্তঃসত্ত্বাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ। জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। ফেরার অভিযুক্তরা।


কুলতলিতে যেদিন টাকা না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে, সেদিনই পণের টাকা না পেয়ে বধূহত্যার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে।

দেড় বছর আগে জলপাইগুড়ির প্রতিমা রায়ের সঙ্গে বালাপাড়ার বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা জয়ন্ত কীর্তনিয়ার বিয়ে হয়। বধূর বাপের বাড়ির দাবি, বুধবার সকালে, শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রতিমার ঝুলন্ত দেহ! হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ঘটনায় বধূহত্যার অভিযোগ তুলেছে মৃতের বাপের বাড়ির সদস্যরা। তাঁদের দাবি,

বিয়ের সময় পাত্রপক্ষের দাবি মেনে দামী যৌতুক দেন তাঁরা। কিন্তু, বিয়ের একমাস কাটতে না কাটতেই মোটর বাইক কিনে দেওয়ার জন্য প্রতিমাকে, তাঁর স্বামী চাপ দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। একই অভিযোগ প্রতিবেশীদেরও।

যদিও, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, পণের জন্য নয়, স্রেফ দাম্পত্য কলহের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রতিমা।

রাতেই মৃত বধূর স্বামী-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।  ঘটনার পর থেকেই ফেরার অভিযুক্তরা।