বিজেপিরও প্রায় ২০০০ প্রার্থী ই-মেলে আবেদন জানিয়েছেন। সেই মনোনয়ন গ্রহণের জন্যও আবেদন জানানো হবে হাইকোর্টে। জানালেন বিজেপি-র প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত মামলা : ই-মেলে আসা মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
ABP Ananda, Web Desk | 08 May 2018 08:10 AM (IST)
কলকাতা :ই-মনোনয়ন মামলায় মান্যতা পেল সিপিএমের আবেদন। ‘২৩ এপ্রিল দুপুর তিনটের মধ্যে যেসব সিপিএম প্রার্থী ইমেলে মনোনয়নপত্র পাঠিয়েছেন, তা গ্রহণ করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে’।নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় যুগান্তকারী বলেই মত আইনজ্ঞদের। আগামী দিনে ভোটে মনোনয়ন দাখিলের ক্ষেত্রে এদিনের রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেই মত তাঁদের। সিপিএমের অভিযোগ ছিল, পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নের অতিরিক্ত দিনে অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল বাধার মুখে পড়ে তাদের বহু প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে তাঁরা ইমেল মারফৎ কমিশনে মনোনয়নপত্র পাঠান। সেই মনোনয়নকে বৈধ ঘোষণার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, ২৩ এপ্রিল দুপুর তিনটের মধ্যে যে সিপিএম প্রার্থীরা ই-মনোনয়ন অর্থাৎ ইমেলে মনোনয়ন পাঠিয়েছেন, তা গ্রহণ করতে হবে। স্ক্রুটিনির পর সেই নামের তালিকাও প্রকাশ করতে হবে। ই-মনোনয়ন মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্তসনাও করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতিরা পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে,সিপিএম প্রার্থীদের ইমেলে পাঠানো মনোনয়নের নথি দেখার ক্ষেত্রে কমিশনের যথেষ্ট অনীহা ছিল। কার্যত ই-মনোনয়নের উপযোগিতা বুঝিয়ে এদিন বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন,ই-মনোনয়নের ফলে অভিযোগ এবং প্রাণহানির ঘটনা কমবে। হাইকোর্ট আরও বলে,যখন কমিশনের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন ওঠে, তখন তার উচিত আরও সতর্ক ভাবে পদক্ষেপ করা। কমিশনের উচিত ছিল ই-মেলের মাধ্যমে মনোনয়ন গ্রহণ করা... বিরোধীরা যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে কমিশনের ওপর চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুলছে, তখন মনোনয়নের মামলার পর্যবেক্ষণে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন কাদের মনোনয়ন গ্রহণ করবে বা করবে না, তা নিয়ে কোনও নির্দেশ বা পরামর্শ দেওয়ার অধিকার কোনও রাজনৈতিক দলের নেই।