কলকাতা: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে আসন সংখ্যাটা ৫৮ হাজার ৬৯২!পঞ্চায়েত ভোটে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ আসন সংরক্ষিত মহিলাদের জন্য।এ কারণে প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার আসনে মহিলা প্রার্থী দরকার।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এই কাজ মোটেও সহজ নয়! যদিও মহিলা প্রার্থী জোগাড় করার প্রশ্নে বিরোধীদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। সোমবার মনোনয়ন পেশের প্রথম দিনেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তার প্রমাণ মিলেছে। মিছিল করে গিয়ে শাসক দলের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বহু মহিলা প্রার্থী।
তৃণমূল নেতৃত্ব এদিনও বুঝিয়ে দিয়েছে, গ্রাম বাংলা দখলের লক্ষ্যে তাদের প্রমীলা-ব্রিগেড তৈরি।
যদিও রাজ্যের বিরোধী দলগুলি প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার আসনে মহিলা প্রার্থী দিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, তাঁদের দল প্রার্থী দিতে পারবে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে না পেলে পাশের অঞ্চল থেকে প্রার্থী দাঁড় করানো হবে। প্রকাশ্যে সিপিএমও দাবি করছে, সংরক্ষিত আসনে মহিলা প্রার্থী পেতে তাদের সমস্যা হবে না।সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেবের দাবি, তাঁরা এ ব্যাপারে তৈরি।
কংগ্রেস আবার সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব।অধীর চৌধুরী বলেছেন, মনোনয়নই দিতে পারছি না। তাতে আবার মহিলা! যা সন্ত্রাস চলছে, তাতে প্রার্থী দিতে পারব কিনা সন্দেহ।
সিপিএমের দাবি, সংরক্ষিত আসনের মহিলা প্রার্থীদের জাতিগত শংসাপত্র পেতে সমস্যা হচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য ৫ দিন বরাদ্দ করার নেপথ্যে অন্য অভিসন্ধি দেখছে তারা। দুর্গাপুরের সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেছেন, লোকসভা , বিধানসভায় সাধারণত ২ দিন থাকে, পঞ্চায়েতে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য ৫ দিন সময় রাখা হয়েছে।আসলে যাতে মহিলাদের হুমকি দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো যায়, তারই অভিসন্ধি রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ভোটে হারতে হবে জেনে এখন নানা অভিযোগ করছে বিজেপি! কখনও তারা বলছে, অমিত শাহের বঙ্গ সফর বানচাল করতে তড়িঘড়ি পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হল! কখনও আবার সন্ত্রাসের অভিযোগ করছে!
আপাত বাগযুদ্ধ চলছে। আসল লড়াই ভোটবাক্সে।