সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর : পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে মাওবাদীদের নামে পড়ল হুমকি-পোস্টার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কে বা কারা পোস্টার দিল তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
হাত বাড়ালেই বাঁকুড়ার সারেঙ্গা। বাঁকুড়া সীমানা লাগোয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানার কেশিয়া গ্রামে মাওবাদীদের নামে পড়ল হুমকি পোস্টার। পোস্টারে লাল কালিতে লেখা, চাকরি না দিলে খুন করা হবে। কার উদ্দেশে হুমকি তা স্পষ্ট না হলেও, বৃহস্পতিবার সকালে এইসব পোস্টার ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় গোয়ালতোড়ের কেশিয়া গ্রামে। সারেঙ্গা থানার পুলিশ পোস্টারগুলি সরিয়ে নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে দাবি, অনেকদিন ধরেই গোয়ালতোড় বা সারেঙ্গায় মাওবাদীদের কোনও গতিবিধি বা অস্তিত্ব নজরে পড়েনি। তাহলে সিপিআইএমএলের নামে লেখা এই পোস্টার এল কোথা থেকে? যা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। গোয়ালতোড়ের তৃণমূল নেতা চন্দন সাহা বলেছেন, 'এটা মাওবাদীদের কাজ নয়, লোকাল দুষ্কৃতীরা বিরোধীপক্ষের উস্কানিতে এটা হচ্ছে, শান্ত পরিবেশ অশান্ত করতে বিরোধীদের চক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে।' পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি সহ সভাপতি মদন রুইদাস বলেছেন, 'এর পিছনে চক্রান্ত থাকতে পারে। কিছু কিছু মানুষ রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকে। তারা এই চক্রান্ত করতে পারে।'
ভোট গণনার আগের দিন, অর্থাৎ গত পয়লা মে ঝাড়গ্রামের বিনপুর থেকে উদ্ধার হয় এমনই পোস্টার। এবার জঙ্গলমহলের আরেক জনপদ গোয়ালতোড়ে হুমকি পোস্টার। সব দিক খতিয়ে দেখছে দুই জেলার পুলিশ। বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সীমানা লাগোয়া অঞ্চল আগে বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে বিভিন্ন মাওবাদী গতিবিধির জেরে। তবে ইদানীং সময়ে তাদের তেমন খুব একটা গতিবিধি দেখা যায়নি।
পুলিশের পক্ষ থেকেও যেমনটা জানানো হয়েছে প্রাথমিকভাবে। তবে এভাবে চাকরি না পেলে হত্যা করার যে পোস্টার পড়েছে, সেই বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন। তদন্ত করে দ্রুত পোস্টার বিতর্কের গভীরে পৌঁছতে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে দিয়েছে তারা।