সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: জমি বিবাদের জেরে বাবাকে খুন করে নদীর চড়ে বালির মধ্য়ে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। আটক অভিযুক্ত ও তাঁর স্ত্রী। পুরুলিয়ার কাশীপুর থানার আমলা বহাল গ্রামের ঘটনা। 


বছর সত্তরের মহেশ্বর সোরেনের তিন ছেলে-- জয়দেব সোরেন, শ্রীকান্ত সোরেন ও সঞ্জয় সোরেন। দুই ছেলে, জয়দেব ও সঞ্জয় খড়্গপুরে শ্রমিকের কাজ করে। 


বৃহস্পতিবার তাঁরা গ্রামের বাড়িতে আসেন। বাবা মেজ ছেলে শ্রীকান্তের কাছে থাকতেন। বাবার খোঁজ করলে শ্রীকান্তের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা ধরা পড়ে বলে দাবি দুই ভাইয়ের।


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন ভাইয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত ঝামেলা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। এরমধ্যেই গত ১৩ জুলাই থেকে বাবা মহেশ্বর সোরেন নিখোঁজ হয়ে য়ান। 


ছোট ছেলে বাবার খোঁজ করতেই মেজ ছেলে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এমনকী, বাড়িতে রক্তের দাগও দেখা যায় বলে দাবি। তখনই বাকি দুই ভাইয়ের সন্দেহ হয়।


শুক্রবার সঞ্জয় সোরেন কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘরের মধ‍্যে রক্তের দাগের কথাও পুলিশকে জানান সঞ্জয়। তারপরেই কাশিপুর থানার অফিসাররা আমলা বহাল গ্রামে যান। 


সঞ্জয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁর কথার সুত্র ধরে পুলিশ তদন্তে নামে। শ্রীকান্ত তদন্তকারী অফিসারদের নিয়ে দ্বারকেশ্বর নদীর পাড়ে যান।


দ্বারকেশ্বর নদীর পাড় থেকে বালির মধ‍্যে পোঁতা অবস্থায় বাবার দেহ উদ্ধার করে কাশীপুর থানার তদন্তকারী অফিসারেরা। অভিযোগ উঠে মেজ ছেলে শ্রীকান্ত সোরেন ও তাঁর স্ত্রী নমিতা সোরেনের বিরুদ্ধে।


শ্রীকান্ত ও তাঁর স্ত্রী নমিতাকে আটক করে কাশীপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি, মহেশ্বর সরেনের দেহটি উদ্ধার করে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। 


অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসা যুবককে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল প্রেমিকার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবারের চাঁদনগর গ্রামে।অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক প্রেমিকাও।


স্থানীয় সূত্রে খবর, উস্তির বাসিন্দা পল্টু পুরকায়স্থর সঙ্গে বিয়ের আগে থেকে সম্পর্ক ছিল তরুণীর। অভিযোগ, গতকাল প্রেমিকার শ্বশুরবাড়িতে যান বছর তিরিশের ওই যুবক।


সেখানেই তাঁকে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।