কলকাতা: বাংলার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার জন্য প্রস্তুত করে তোলার জন্য গঠিত সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারের সব খরচ বহন করছে রাজ্য সরকার। এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। বুধবার এই কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


উদ্দেশ্য সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বাংলার পড়ুয়াদের এগিয়ে নিয়ে আসা। স্বপ্ন দেখাচ্ছে সল্টলেকের সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টার। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তৈরি এর চেয়ারম্যান সুরজিত্‍ কর পুর কায়স্থ। 


কারও স্বপ্ন আছে, কিন্তু সামর্থ নেই। অনেকের আবার স্বপ্ন-সামর্থ দুটোই আছে, কিন্তু স্মার্ট স্টাডির টেকনিকটা জানা নেই। আবার অনেকে এমনও আছেন, মেধা থাকলেও, শুধু ইংরেজিকে ভয় পেয়ে পরীক্ষা থেকে পিছিয়ে আসছেন। 


সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস বা ইউপিএসসি-তে সাফল্যের দিক দিয়ে বাংলার ছেলেমেয়েদের পিছিয়ে পড়ার নেপথ্য এতদিন এসব কারণকেই দায়ী করতেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু দিন বদলেছে। এখন বাংলার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে, রাজ্য সরকারের তৈরি সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টার। 


এতদিন সল্টলেকের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং সেন্টারে সদ্য আইএএস, আইপিএস ও ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের ট্রেনিং হতো।  ২০১৪ সালে এখানে আলাদা একটা উইং খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম দেওয়া হয়, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টার। 


উদ্দেশ্য ছিল, বাংলার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার জন্য প্রস্তুত করে তোলা। বাজেটে এর জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


বর্তমানে এই স্টাডি সেন্টারের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি তথা রাজ্যের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিত্‍ কর পুরকায়স্থ। তিনি বলেন, বাংলায় পরীক্ষা দেওয়া যায়। বাংলা সাহিত্যকে সাবজেক্ট হিসেবে নেওয়া হয়। বেশকিছু টেকনিক শেখানো হয়।


বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় যখন এধরনের সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কয়েক লাখ টাকা কোর্স ফি নেওয়া হয়, সেখানে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারে বিনামূল্যে পড়ুয়াদের থাকা-খাওয়া ও পড়ার সুযোগ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে স্টাইপেন্ডও দেওয়া হবে। সব খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।


কৃতী কিন্তু আর্থিকভাবে দুর্বল পড়ুয়াদের জন্য হস্টেলে থেকে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে এখানে। মোট ১০০ জন পড়ুয়ার থাকার ব্য়বস্থা রয়েছে। 


যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে পড়াশোনার পাশাপাশি সময় ধরে ধরে মক টেস্ট ও মক ইন্টারভিউয়ের একটা অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই এখানে ক্লাস নেন রাজ্যের আইএএস, আইপিএস অফিসারদের অনেকেই।


এতকিছুর পর সাফল্য তো আসতেই হবে।  হচ্ছেও তাই। ২০১৮ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত এই সেন্টার থেকে ১৫ জন ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। 


যাঁরা এখানে পড়তে চান, সেই আগ্রহী পড়ুয়ারা যোগাযোগ করতে পারেন -- www.csscwb.in এই ওয়েবসাইটে অথবা  ইমেল iascoaching.ati@gmail.com- এ।