কলকাতা:  হাইকোর্টের বিসর্জন রায় গিয়েছে রাজ্যের পক্ষেই। দাবি আইনজীবী ও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে যাচ্ছে না সরকার। বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিব্বলের সঙ্গে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।

এই রায়ে প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের মন্তব্য, শান্তিপূর্ণভাবে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারে, তা দেখা উচিত প্রশাসনের। বিসর্জন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় কারও জয়-পরাজয় নয়। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

প্রসঙ্গত, গতকাল এক রায়ে হাইকোর্ট রাজ্যের বিসর্জন-নির্দেশিকা খারিজ করে দেয়। দশমী থেকে রোজ রাত বারোটা পর্যন্ত বিসর্জন হবে বলে বলা হয় নির্দেশিকায়। মহরমের দিনও বিসর্জন হবে বলে জানানো হয়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েও প্রতিক্রিয়া দেন সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে, কোনও চিন্তা নেই।

রাজ্য সরকার আগে বলেছিল, ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ দশমীর দিন বিসর্জন হবে রাত দশটা পর্যন্ত। কলকাতা হাইকোর্ট অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে, বিসর্জন হবে রাত বারোটা পর্যন্ত। এবার একাদশীর দিন অর্থাৎ পয়লা অক্টোবর মহরম। রাজ্য সরকার বলেছিল, এই দিনে বিসর্জন দেওয়া যাবে না।

সেই নির্দেশেই গতকাল খারিজ করে দেয় আদালত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাকেশ তিওয়ারি এবং বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানায়, দুই সম্প্রদায় একসঙ্গে উৎসব পালন করবে। দুই ধর্মের শোভাযাত্রার জন্য আলাদা আলাদা রুট নির্দিষ্ট করবে পুলিশ। রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপাররা বাহিনী মোতায়েন করবেন। কোনও কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।