সৌভিক মজুমদার, ঋত্বিক প্রধান, কলকাতা ও কাঁথি: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে জেল থেকে ছাড়া পেলেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা। ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত রাখাল বেরাকে গ্রেফতার করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।


অবশেষে জেলমুক্ত হলেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাখাল বেরা। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার রাখাল বেরাকে জেল থেকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ, প্রতারণার অভিযোগে ধৃত ব্যবসায়ীর জামিন মঞ্জুর করলেও, ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলাকালীন নন্দকুমারের একটি পুরনো মামলায় ফের রাখালকে গ্রেফতার দেখানো হয়। 


গ্রেফতারিতে কেন এত তৎপরতা? এই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার রাজ্যের কাছে তথ্য তলব করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন আদালতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন,নন্দকুমার থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছিল। সেই মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।এরপরই, রাখাল বেরার জেলমুক্তির নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।


রাখাল বেরার আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেছেন,গতকালই ছাড়া পেয়ে যেতেন, নন্দকুমারের মামলায় ফের পিটিশন করে আজ হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি দেওয়া হল।


সূত্রের খবর, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, মানিকতলা থানায় রাখল বেরার নামে একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, সেচ দফতরের গ্রুপ-ডি পদে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে, ২ লক্ষ টাকা ঘুষ নেন তিনি। 
তদন্তে নেমে ৫ জুন রাতে, মানিকতলার আবাসন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৬ অগাস্ট, কলকাতা হাইকোর্টে ফের এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। 
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে কাঁথি আদালতে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনে সরব  হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা। পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করলে স্বেচ্ছামৃত্যুর দাবি জানিয়ে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁর উপর মামলা চলছে। রাখাল বেরার আইনজীবীর বক্তব্য তাঁর উপর মিথ্যা মামলা চাপানো হচ্ছে। সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরেই তিনি আদালতে এমন মন্তব্য করেছেন। এই ঘটনায় শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর।