পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘরের ছেলে আর কোনও দিন ঘরে ফিরবে না। কিন্তু একবারের জন্যও কি শেষদেখা হবে না?বাড়িতে কি আসবে না মৃতদেহ? প্রশ্ন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরেরর চিরঞ্জিৎ হাজারার পরিবারের। তাদের দাবি, মৃতদেহে পচন ধরে যাওয়ায়, তা ভারতে পাঠানো যাবে না বলে ইমেলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া পুলিশ।
এমনকী আত্মীয়রা অস্ট্রেলিয়ায় গেলেও মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হবে না জানানো হয়েছে।সে দেশেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করার অনুমতি চেয়েছে অস্ট্রেলিয়া পুলিশ।
মেধাবী ছাত্র ছিলেন চিরঞ্জিৎ।তিন বছর আগে সিডনি যান এমবিএ পড়তে। পরিবারের দাবি, পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে সেখানে রেস্তোরাঁ খুলেছিলেন চিরঞ্জিৎ। এমবিএ পড়তে পড়তে একটি চাকরিও পেয়ে যান।
৩০ জানুয়ারি দুঃসংবাদ পায় পরিবার। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়া পুলিশ জানায়, বিষক্রিয়ায় চিরঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কীভাবে বিষক্রিয়া? ঠিক কী ঘটেছিল? এখনও অন্ধকারে চিরঞ্জিতের পরিবার। এবার মৃতদেহ দেশে ফেরানো নিয়েও ঘোর অনিশ্চয়তা।বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার।