কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও অরিত্রিক ভট্টাচার্য: আজ রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। করোনাকালে প্রথম পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির থেকে পরীক্ষা দেবেন ৯২ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী। রেল ও মেট্রোর স্টাফ স্পেশালে মিলবে ছাড়। থাকবে পর্যাপ্ত বাস পরিষেবা, আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।


করোনা আবহে স্কুল, কলেজ থেকে ইউনিভার্সিটি, সবই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। ব্ল্যাক বোর্ড থেকে বসার বেঞ্চ, ধুলো জমছে সব কিছুতেই। বাতিল হয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হচ্ছে অনলাইনে। এই প্রেক্ষাপটে করোনাকালে রাজ্যে প্রথম সশরীরে হাজির থেকে পরীক্ষা হচ্ছে শনিবার।  


রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে ভর্তির প্রবেশিকা জয়েন্ট এন্ট্রান্স। এবছর মোট জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ হাজার ৬৯৫। তার মধ্যে রাজ্যের পরীক্ষার্থী ৬০ হাজার ১০৫ জন। অসম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড-সহ ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থী ৩২ হাজারের বেশি।


২৭৪টি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বাড়ির কাছে শিক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে বোর্ডের তরফে। এর আগে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ১১ জুলাই। তা ৬ দিন পিছিয়ে পরীক্ষা হবে ১৭ জুলাই। 


শনিবার দুটি পর্যায়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়া হবে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হবে পেপার ওয়ান ম্যাথমেটিক্স পরীক্ষা। পরের ধাপে দুপুর ২টো থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি পরীক্ষা হবে। 


বাস এবং ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে মেট্রো চলাচল শুরু হলেও, এখনও বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন।  এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারে, তারজন্য পদক্ষেপ করেছে সরকার। 


রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার জয়েন্ট এন্ট্রান্সের অ্যাডমিট কার্ড দেখালেই টিকিট দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীর সঙ্গে যেতে পারবেন অভিভাবকরাও। 


মেট্রোর ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা থাকছে। তবে পরীক্ষার্থীদের স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করতে হবে। যে কোনও অসুবিধায় পড়লে, তা সমাধানের জন্য টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে রাজ্য সরকার। সেগুলি হল----- ০৩৩২৩৬৭/১১৫৯/১১৪৯/১১৯৯।


চলতি বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশ হবে ১৪ অগাস্টের মধ্যে। তিন দফায় কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হবে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে, জানাল বোর্ড।