কলকাতা: রাজ্যে একলাফে অনেকটাই কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। গতকাল ছিল সাতশোর কোটায় ছিল দৈনিক সংক্রমণ। আজ নামল চারশোর ঘরে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রকাশিত সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৪৭২ জন। এ নিয়ে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৫,৬৬,৮৬৫ জন। ২৭ সেপ্টেম্বর রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৭,৫৮৪। যা গতকালের তুলনায় ৯৯ জন কম।
এই সময় পর্বে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এ ক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যা গতকালের তুলনায় বেড়েছে। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ৯। আজ মৃতের সংখ্যা বাড়ল। উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন ৫৫৬ জন। শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১৫,৪০,৫৩০।
দেশে করোনায় ফের বাড়ল দৈনিক মৃত্যু, কমল সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৬ জনের। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪১। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ১৯৪ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৮৬। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬২০। দেশে এখনও পর্যন্ত ৩ কোটি ২৯ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৭২ জন সুস্থ হয়েছেন। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ২৯ হাজার ৬২১ জন।
দেশে উৎসবের মরশুম। কিন্তু করোনার দাপট কমছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের বেড়েছে দৈনিক মৃত্যু। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৬ জনের। তবে কিছুটা কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৪১ জন।
করোনার কবল থেকে মুক্তি পেতে দেশজুড়ে চলছে ভ্যাকসিনেশন। জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য এখনও পর্যন্ত ভারতে ৬টি ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়েছে। কিন্তু, এটাও দেখা যাচ্ছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও অনেকে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কতটা কার্যকরী করোনার ভ্যাকসিন? ভ্যাকসিন নিয়ে কতটা লাভ হচ্ছে?
এর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে সমীক্ষা চালিয়েছে Indian Statistical Institute বা ISI. তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৯৩ শতাংশের শরীরেই করোনা ভয়াবহ আকার নেয়নি। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশের ক্ষেত্রে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে, বা হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে।