গোপাল চট্টোপাধ্যায়, আবীর ইসলাম ও সন্দীপ সমাদ্দার, কলকাতা: দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কীভাবে কর্মীদের মাইনে দেবেন তা নিয়েই চিন্তায় বীরভূমের শান্তিনিকেতন এলাকার বেশ কিছু রেশন ডিলার। এই প্রেক্ষিতে কতদিন প্রকল্প চালু থাকবে, সেই প্রশ্ন গ্রাহকদের মনে। এনিয়েই তরজায় তুঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপির।
এই দুয়ারে রেশন সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, "প্রতি মাসে ১০ কোটি মানুষ নির্দিষ্ট দিনে বাড়িতে বসে রেশন পাবেন। ১০ হাজার টাকা মাইনের অর্ধেক দেবে রাজ্য।" রাজ্যজুড়ে প্রকল্প চালু হয়েছে মঙ্গলবার।আর তার ঠিক পর দিনই, দুয়ারে রেশন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কর্মীদের কীভাবে মাইনে দেবেন তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানা এলাকার রেশন ডিলাররা।
মঙ্গলবার প্রকল্পের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, গ্রাহকদের বাড়ির কাছে রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য, ২ জন লোক নিয়োগ করতে পারবেন ডিলাররা। ২ জন কর্মীর অর্ধেক মাইনে দেবে রাজ্য। অর্ধেক দেবেন ডিলাররা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই জেলায় জেলায় চলছে দোরগোড়ায় রেশনের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ। রাখা হয়েছে কর্মী।
আরও পড়ুন, 'আমিও একটা সময় গ্রামে গিয়ে ইট পেতেছি', প্রশাসনিক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ মমতার
কিন্তু, সেই কর্মীদের বেতনের অর্ধেক অংশ কীভাবে জোগাড় করবেন, তা ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না ডিলাররা। বেতন নিয়ে চিন্তায় রেশন দোকানের কর্মীরাও। বাড়ির অনেক কাছেই মিলছে খাদ্য সামগ্রী। কিন্তু কতদিন এই পরিষেবা পাওয়া যাবে, তানিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গ্রাহকদের একাংশ। আর এমন সব প্রশ্ন উঠতেই তাকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব এসেছে শাসক শিবির থেকেও।
যদিও বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, "ভোটপ্রচারের কৌশল, কিছুদিন পর দেখবেন কেউ পাচ্ছে কেউ পাচ্ছে না।" অন্যদিকে, রূপপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেত্রী ও প্রধান তাপসী চক্রবর্তী বলেন, "কাজ নেই তাই অপপ্রচার করছে বিজেপি।' তবে বিতর্কের মধ্যেও রেশনে নিতে প্রবল উৎসাহ লক্ষ্য করা যায় পুরুলিয়ার বিভিন্ন জায়গায়।