শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: দু বছর আগে কোচবিহার থেকেই গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার পরিকল্পনা নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় উনিশের লোকসভা ভোটের আগে গড়ায়নি বিজেপির রথ।


একুশের মহারণের আগে সেই কোচবিহার থেকেই গড়াতে চলেছে বিজেপির রথ। যে কর্মসূচির পোশাকি নাম পরিবর্তন যাত্রা। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের রাসমেলার মাঠ থেকে রথযাত্রার সূচনা করবেন অমিত শাহ। তার ৪৮ ঘণ্টা আগে কর্মসূচির অনুমতি পেল বিজেপি।


ইতিমধ্যেই বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা নবদ্বীপ, তারাপীঠ ও ঝাড়গ্রাম থেকে পরিবর্তন যাত্রার উদ্বোধন করেছেন। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কোচবিহার থেকে বেরোবে বিজেপির রথ। উত্তরবঙ্গের প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে মালদায় পৌঁছবে। 


অনুমতির আগেই অবশ্য বিজেপির সভামঞ্চ তৈরির কাজ অনেকটা এগিয়ে যায়। কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বলেন, সাধারণ মানুষ যাত্রা চাইছে, মানুষ জেগে উঠেছে, প্রশাসন বাধ্য হয়েছে অনুমতি দিতে।


বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার দিনেই একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। কোচবিহারের রাসমেলার মাঠ থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সাগরিদিঘি চত্বরে হবে তৃণমূলের ধর্না। তবে  তৃণমূল প্রশাসনের অনুমতি পায়নি।


পার্থপ্রতিম রায়, জেলা সভাপতি, তৃণমূল কংগ্রেস, কোচবিহার, প্রশাসন নিজেদের কাজ করবে, ১১ তারিখ আমাদের একাধিক কর্মসূচি আছে, এখনও পর্যন্ত অনুমতি পাওয়া যায়নি, অনুমতি পেলে কর্মসূচি হবে।


নবদ্বীপে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি ঝুলে ছিল। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় রুট বিতর্কে জড়ায় পরিবর্তন যাত্রা। তবে যাত্রা শুরুর আগেই প্রশাসনের সবুজ সঙ্কেত পেল বিজেপির উত্তরের রথ।