WB Election 2021 LIVE: বলছে ডিসেম্বরে মারবে, আমরা কি বসে থাকব? বিজেপি রাজ্য সভাপতির হুঁশিয়ারির কড়া জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

West Bengal Assembly Elections 2021 LIVE Updates, 15 December 2020:বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। আজ জলপাইগুড়ি শহরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন স্থানে জনসভা করছেন। সবমিলিয়ে ভোটের আগে তুঙ্গে রাজনৈতিক তৎপরতা।

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 15 Dec 2020 10:49 PM
চলতি সপ্তাহেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে এমনটাই দাবি। ১৮ বা ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু দলবদল করতে পারেন বলে জল্পনা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও পাবেন শুভেন্দু। দলে থেকে বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁতের প্রমাণ। আক্রমণে তৃণমূল।
ভোট এলেই গোর্খাল্যান্ড ইস্যু তোলে বিজেপি। আমরাই পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করতে পারি, ওরা নয়। জলপাইগুড়ির জনসভায় বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। ভাঙন আটকাতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কটাক্ষ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর।
আমায় যাঁরা ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, তাঁরা জেনে রাখুন, চটঘেরা জায়গায় গিয়ে মানুষ বোতাম টিপে জবাব দেবেন। নাম না করে তৃণমূল নেতৃত্বকে আক্রমণ শুভেন্দুর।
১০ বছর ধরে সরকারে থেকে খেলেন, ভোটের মুখে এর ওর সঙ্গে কথা? বরদাস্ত করব না। নাম না করে বিক্ষুব্ধ নেতাদের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বিজেপি হায়দরাবাদের একটা পার্টিকে এখানে ধরে এনেছে। ওরা ওই দলকে টাকা দেয়। বিজেপি হিন্দু ভোট নেবে, ওরা নেবে সংখ্যালঘু ভোট। আর আমি কি কাঁচাকলা খাব? নাম না করে মিম-বিজেপির আঁতাতের অভিযোগে সরব মমতা।
যে ক্ষমতায় থাকে সে চেষ্টা করে কাজ করার। আর যে ক্ষমতায় থাকে না, সে শুধু মিথ্যে বলে আর কুৎসা করে। ক্ষমতায় না থাকলে বাইরের গুন্ডা এনে দখল করে যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন তৃণমূলনেত্রী।
যে ক্ষমতায় থাকে সে চেষ্টা করে কাজ করার। আর যে ক্ষমতায় থাকে না, সে শুধু মিথ্যে বলে আর কুৎসা করে। ক্ষমতায় না থাকলে বাইরের গুন্ডা এনে দখল করে যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন তৃণমূলনেত্রী।
কোচবিহারের শিবযজ্ঞ মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বলেছেন, 'আমরা চাই সব মানুষই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান।
একদিনে সব কাজ সম্ভব নয়, বাকি থাকলে করে দেব।
যে ক্ষমতায় থাকে সে চেষ্টা করে কাজ করার।
যে ক্ষমতায় থাকে না সে শুধু মিথ্যে কথা বলে।
ক্ষমতায় না থাকলে বাইরের গুন্ডা এনে দখল করে যায়। লোকসভা ভোটে এখানে একটা আসনও পেলাম না। এখানকার সব আসন বিজেপি নিয়ে চলে গেল!
আর কোন কাজটা বাকি আছে, বলুন? ওদের চাকরি দরকার নেই, পরিযায়ীদের তাড়িয়ে দিয়েছে। ৪০ লক্ষ বেকারের সংখ্যা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
হেঁটে ফিরেছেন পরিযায়ীরা, ট্রেনের ভাড়া দেয়নি।
আমরা ৩০০ ট্রেন ভাড়া করে পরিযায়ীদের ফিরিয়েছি।
বাংলায় ৪০% দারিদ্র কমেছে।
আগে ৩ দলকে বলতাম জগাই-মাধাই-গদাই।
ওই ৩টি দল এখন অঙ্কা-বঙ্কা-শঙ্কা।
বলছে দিল্লির টাকা, কোথায় পায় ওরা।
রাজ্য থেকে রাজস্ব আদায় করে, তার ৪০% রাজ্য পায়।
সেই টাকাটাও দেয় না, মাছের তেলে মাছ ভাজে।
ভোটের আগে টাকার প্যাকেট আসবে, নিয়ে নেবেন।
টাকা নিয়ে খেয়ে নেবেন, উল্টে দেবেন ওদের।
লোকসভা ভোটে আমরা একটাও আসন পাইনি।
বিধানসভা আসনে আমরা আপনাদের আশীর্বাদ চাই।
বাংলাকে গুজরাত বানাতে দেব না।
বাংলার মেরুদণ্ড ভাঙতে দেব না।
কবিগুরুর জনগনমণ পাল্টে দেখুন না কী হয়!
বাংলায় বহিরাগত গুন্ডাদের ঢুকিয়েছে।
আমার প্রত্যাঘাত গুন্ডা এনেও সামলাতে পারবে না’
এক্তিয়ার নেই, তাও রাজ্য পুলিশকে ডাকছে।
কনভয়ে ৫০টি গাড়ির পিছনে কেন ৫০টি গাড়ি।
কেন জেল ফেরত আসামিরা থাকবে।
যারা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল কেন থাকবে।
মানুষ এদের দেখলে রেগে যায়।
হায়দরাবাদের একটা পার্টিকে এখানে ধরে এনেছে।
বিজেপি ওই হায়দরাবাদের পার্টিকে টাকা দেয়।
বিজেপি হিন্দু ভোট নেবে, ওরা নেবে সংখ্যালঘু ভোট।
আর আমি কি কাঁচাকলা খাব!
কেন্দ্রের কাছে ৮৫ হাজার কোটি টাকা পাই, দেয়নি।
১০ বছর পার্টির সুবিধা নিয়ে, সরকারের খেয়ে
ভোটের আগে বোঝাপড়া করে বিরোধিতা করবেন,
এটা আমরা বরদাস্ত করব না।
একুশে বিজেপি বাংলা থেকে দূর করে দিতে হবে।
কী করবেন, রাষ্ট্রপতি শাসন? করে দেখান না! ‘আমি আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি, কিছু হবে না।’

মমতা বলেছেন, ভোট এলেই ওরা গোর্খাল্যান্ডের কথা বলে বিজেপি।
পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান আমরাই করব। দার্জিলিং, তরাই-ডুয়ার্স নিজেদের মতো ভাল থাকবে।
রাজবংশীদের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কোচবিহারে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের ৩৭০টি বাগানের চা শ্রমিককে পাকা বাড়ি।
বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের ভাতা, বিনামূল্যে রেশন।
মূলস্রোতে ফিরেছে কেএলও জঙ্গিরা।
যারা পরিষেবা পাননি, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যান।
করোনায় থমকে বিশ্ব, এগোচ্ছে বাংলা।
আমরা চাই সব মানুষই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান।
একদিনে সব কাজ সম্ভব নয়, বাকি থাকলে করে দেব।
যে ক্ষমতায় থাকে সে চেষ্টা করে কাজ করার।
যে ক্ষমতায় থাকে না তার কোনও দায়বদ্ধতা থাকে না।'
সিপিএমকে আক্রমণ করে মমতা বলেছেন, ‘আগে যারা সরকারে ছিল কোন কাজটা করেছে!
‘ভাষণ দিয়ে সব কাজ হয় না। আমাদের কাজে ভুল হলে সংশোধন করে নেব।
বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি সবচেয়ে বড় ডাকাত।
হিন্দু নয়, কুৎসা ও হিংসার ধর্ম তৈরি করেছে বিজেপি।
মানুষে-মানুষে ভাগাভাগি করাই ওদের কাজ।
দিল্লির সরকারের তো ৬ বছর হয়ে গেল!
ওরা বলেছিল ৬০টি চা বাগান খুলে দেব, কটা খুলেছে!
বিজেপির প্রতিশ্রুতি মানে তো প্রতারণা।
নোটিফিকেশন জারির পরেও হাল্লাবোল, কিছুই নেই!
বলেছিল বছরে ২ কোটি চাকরি দেব, দিয়েছে?
বাংলায় বলছে ফর্ম দেব, ভোটের পর হাওয়া!
বলেছিল অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেব, পেয়েছেন?’
শুধু উল্টোপাল্টা কথা বলার জন্য আছে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'আলিপুরদুয়ারের ১০০% মানুষ সরকারি পরিষেবা পান।
জলপাইগুড়ির ৯৫% মানুষ সরকারি পরিষেবা পান।২ জেলাতেই প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে।
হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ, বেঙ্গল সাফারি তৈরি হয়েছে। হলদিবাড়ি থেকে মেখলিগঞ্জ সেতু তৈরি হয়েছে।যা ছিল করে দিয়েছি, আর কিছু বাকি নেই।২ জেলার সব উদ্বাস্তু কলোনিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।'
তিনি বলেছেন, ‘আর বিজেপির এনআরসির ধাক্কা খেতে হবে না।এনপিআর খায় না মাথায় দেয়!
এনআরসি ও এনপিআরের তফাত কী? অসমে ১৯ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একমাত্র রাজ্য যে কাউকে বঞ্চনা করে না।’
সমাবেশে বক্তব্য শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ইতিমধ্যেই মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বক্তব্য রাখবেন তিনি।

প্রেক্ষাপট

বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। আগামীকাল ৩ দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। একুশের ভোটের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতেই তাঁর এই সফর।
আগামীকাল রাত ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা উপ নির্বাচন কমিশনারের। বিভিন্ন জেলার পুলিশ রিপোর্ট ও নির্বাচনী আধিকারিকদের রিপোর্ট পর্যালোচনা করবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ, বর্ধমান ও মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক। এরপর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা উপ নির্বাচন কমিশনারের। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা।
এরপর শুক্রবার মালদা, মুর্শিদাবাদ ও দুই দিনাজপুরের জেলাশাসক, পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি, শিলিগুড়িতে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পঙের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।
আজ জলপাইগুড়ি শহরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন স্থানে জনসভা করছেন। সবমিলিয়ে ভোটের আগে তুঙ্গে রাজনৈতিক তৎপরতা।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.