অলোক সাঁতরা, সোমনাথ দাস ও অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: টানা বৃষ্টিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের একের পর এক নদী। যার জেরে চন্দ্রকোণা, কেশপুরের একাংশ অংশ জলের তলায়। বাঁধ ভাঙায় ভাসছে চন্দ্রকোণা। সবংয়ে রাস্তায় নেমেছে ধস।
নিম্নচাপের নাছোড় বৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশের এখন বানভাসি অবস্থা। কোথাও জলের তোড়ে ভেসে গেছে রাস্তা।কোথাও বাঁধ ভেঙে নেমে এসেছে বিপর্যয়। কেশপুর-মেদিনীপুর সড়কেও জল।
চর্তুদিকে জল। গাড়ি প্রায় ভেসে যাওয়ার জোগাড়। শুক্রবার সকাল থেকে সড়কপথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কেশপুর-মেদিনীপুর। ফুঁসছে কংসাবতী, পাড়াং। দুই নদীর জলে ভাসছে পাঁচটি কেশপুরের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। ভেঙেছে একের পর কাঁচা বাড়ি।জলবন্দিদের উদ্ধারে নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।মহকুমাশাসক কৌশিক চট্টপাধ্যায় বলেছেন, কেশপুরের অনেক জায়গায় জল জমেছে, ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে, ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে এনডিআরএফ দল আসছে।
শিলাবতী নদীর বাঁধ ভাঙায় বিপাকে পড়েছেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার তিনটি অঞ্চলের বাসন্দারা। বিঘের পর পর চাষজমি জলের তলায় চলে যাওয়ায়, মাথায় হাত কৃষকদের। স্থানীয় বাসিন্দা সরোজ কর বলেছেন,সবজি থেকে সবকিছু জলের তলায় চলে গেছে, শিলাবতী নদীর বাঁধ দুটি ভেঙেছে।
শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দুই নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। চন্দ্রকোনা দু নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আকতকোলা ও যদুপুরে ভাঙলো শিলাবতী নদীর বাঁধ। আর এই বাঁধ ভাঙ্গার ফলে প্রায় ৫০ টির ও বেশি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। এমনিতেই চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের ভোতাখালি গ্রাম বন্যার জলে ভাসছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, এমনকি এনডিআরএফ কেও আনা হচ্ছে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজের জন্য। যদিও প্রশাসনের আধিকারিক থেকে শুরু করে গ্রামের মানুষদের দাবি, বন্যার বৃষ্টির জল যদি না থামে তাহলে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
ঘাটালের দেওয়ানচকের রঘুনাথপুরেও শিলাবতীর বাঁধ ভেঙেছে বলে খবর। এরফলে কয়েকটা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।শিলাবতীর মতো চোখ রাঙাচ্ছে ঝুমি নদীও।ঝুমির জলে প্লাবিত ঘাটালের মনশুকা এলাকা।
অতিবৃষ্টিতে সবংয়ের ভুয়া ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তায় নেমেছে ধস। যার ফলে, জেলার অন্য অংশের সড়কপথে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সবং। বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা।