তাহলে কি উত্সবের মরসুমেই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকাবে আলু?
মঙ্গলবার গড়িয়াহাট বাজারে জ্যোতি আলু বিকিয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরে।
চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা কেজি দরে।
ক্রেতাদের প্রশ্ন, এত বাড়লে কিভাবে চলবে।
বিক্রেতারা বলছেন,দাম বেড়েই যাচ্ছে। কিন্তু কেন বাড়ছে জানিনা।
যদিও আলু ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে খবর, এ বছর আলুর যোগানের ঘাটতি নেই বাংলায়।
চলতি বছরে মোট ৫৯ লক্ষ মেট্রিক টন আলু মজুত ছিল। ৩১ অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী এখনও ২৬ শতাংশ আলু রয়েছে হিমঘরে।অর্থাৎ ১৫ লক্ষ মেট্রিকটনেরও বেশি আলু আছে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মিলিয়ে রাজ্যে আনুমানিক আলুর চাহিদা ১২ লক্ষ মেট্রিক টন।
তাই প্রশ্ন উঠছে, পর্যাপ্ত আলু মজুত থাকা সত্ত্বেও কেন বাড়ছে দাম? ব্যবসায়ীরা বলছেন,বিহার,ঝাড়খণ্ড,ওড়িশা,মধ্যপ্রদেশ,অন্ধ্রপ্রদেশে আলু পাঠানো হচ্ছে এ রাজ্য থেকে।তাই বাড়ছে দাম।
পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সুকুমার সামন্ত বলেছেন, ভিনরাজ্যের চাহিদা বেশি। ব্যবসায়ীরাও অতিরিক্ত দামে আলু বিক্রি করছে। সেকারণে বাড়ছে আলুর দাম।
আলু ব্যবসায়ীদের মতে, নতুন আলু বাজারে না আসা পর্যন্ত আগামীদিনে আলুর দাম কমার সম্ভাবনা কম।