নয়াদিল্লি: মহাকুম্ভে যোগ দিতে সুদূর আমেরিকা থেকে পৌঁছেছেন। তবে তার আগে বারাণসীর মন্দিরে গেলেন প্রয়াত Apple কর্ণধার স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল। বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দিলেন তিনি। সেখানে নয়া নামকরণও হল তাঁর। লরেনের পরনে ছিল ভারতীয় পোশাক। মাথা ঢাকা ছিল ওড়নায়। তাঁকে দেখতে ভিড় জমল মন্দির চত্বরে। (Laurene Powell at Maha Kumbh)
শনিবার বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেন লরেন। পরনে ছিল গোলাপি কুর্তা। সাদা ওড়ানায় ঢেকে রেখেছিলেন মাথা। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পৌঁছে গর্ভগৃহের বাইরে থেকেই পুজো নিবেদন করেন লরেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন নিরঞ্জনী আখড়ার স্বামী কৈলাসানন্দ গিরি মহারাজ। (Steve Jobs Wife in Varanasi)
লরেন যে বারাণসী মন্দিরে ছুটে এসেছেন, কুম্ভমেলাতেও অংশ নেবেন, সেই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন স্বামী কৈলাসানন্দ। তিনি বলেন, "মন্দিরের সংস্কৃতি মেনেই চলেছেন উনি (লরেন)...কাশী বিশ্বনাথে আমাদের রীতি অনুযায়ী অন্য হিন্দুরা শিবলিঙ্গ স্পর্শ করতে পারেন না। তাই বাইরে থেকেই শিবলিঙ্গের দর্শন করেন উনি।"
বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে নয়া নামকরণও হয়েছে লরেনের। স্বামী কৈলাসানন্দ তাঁর নয়া নাম রেখেছেন, 'কমলা'। লরেনকে তিনি কন্যাস্বরূপ গ্রহণ করেছেন। মন্দির থেকে বেরিয়ে নৌকায় চেপে গঙ্গাবক্ষে পৌঁছন লরেন। সেখানে সেবা নিধি কার্য পালন করেন। গঙ্গা আরতিও দেখেন। স্বামী কৈলাসানন্দের শিষ্য মহর্ষি ব্যাসানন্দ গিরিও সেখানে পৌঁছন। শীঘ্রই তিনি মহামণ্ডলেশ্বর হিসেবে ভূষিত হতে পারেন।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে সটান মহাকুম্ভের উদ্দেশে রওনা দেন লরেন। সেখানে ১০ দিন কল্পবাস করবেন তিনি। নিরঞ্জনী আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী কৈলাসানন্দের শিবিরেই থাকবেন। সঙ্গমের তীরে আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য একটানা অবস্থানই কল্পবাস। পুণ্যলাভের জন্য এই কল্পবাসের চল রয়েছে। কল্পবাস করলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয় এবং বার বার জন্মগ্রহণ থেকে মুক্তি মেলে বলে বিশ্বাস। এই কল্পবাসের ফলে মন এবং শরীর, দুই-ই উজ্জীবিত হয় বলে মনে করা হয়।
তবে লরেন একা নন, আধ্যাত্মিকতায় একসময় ডুব দিয়েছিলেন স্বয়ং স্টিভ জবসও। বাবা নীম করোলীর ভক্ত ছিলেন তিনি। গুরু হিসেবে মানতেন। সাতের দশকে বেশ কয়েক মাস ভারতে আধ্যাত্মিক সফরে এসেছিলেন স্টিভ জবস। নৈনিতালের কঞ্চীধামেও গিয়েছিলেন। লরেনও সনাতনের অনুসারী।