নয়াদিল্লি: জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque) সমীক্ষা চালাতে পারবে ভারতের পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ বা Archaeological Survey of India (ASI). শুক্রবার এমনটাই জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। তবে তার সঙ্গে শর্তও বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়েছে এই সমীক্ষা হতে হবে 'non invasive method'-এ। অর্থাৎ কোনওরকম ভাঙাচোরা বা খননকাজ করতে পারবে না ASI.


সমীক্ষা চালিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে। চার সপ্তাহের মধ্যে উত্তর প্রদেশের বারাণসী আদালতে জমা দিতে হবে সেই রিপোর্ট। ২১ জুলাই ASI সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসী আদালত (Varanasi Court)। 


বারাণসী আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে গিয়েছিল মসজিদ কমিটি। এএসআই সমীক্ষার বিরোধিতা করা হয়েছিল সেই আবেদনে। বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করেছিল মসজিদ কমিটি। তার ভিত্তিতেই এইদিন এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। 


মসজিদ কমিটির তরফে আইনজীবী হাফিজা আহমদি দাবি করেছিলেন যে এই সমীক্ষার ফলে পুরনো ক্ষত সামনে আসবে। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর তখনই সুপ্রিম কোর্টের তরফে ASI কে বলা হয় 'non invasive method'-এ সমীক্ষা করতে হবে। তারপর সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টকে জানান যে কোনওরকম খননকাজ এখন হবে না, মসজিদের ভিতরে কোনও স্থাপত্যের কোনওরকম ক্ষতি হবে না। 


আজই সকালে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা চালু করেছে ASI. ১২টা থেকে ২ পর্যন্ত নমাজের জন্য বন্ধ ছিল কাজ, খবর PTI সূত্রের। গোটা চত্বরে কড়া নিরাপত্তা বজায় ছিল।


 






এর আগে:
জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে, সবগুলিই শুনছে জেলা আদালত। এর আগে আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদে ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই ভিডিওগ্রাফি হয়েছিল। তারপরেই হিন্দু সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, মসজিদের ভিতরে শিবলিঙ্গ রয়েছে। সেটির কার্বন ডেটিংয়ের দাবি করা হয়েছিল। যদিও মুসলিম মামলাকারীদের দাবি ছিল, সেটি একটি ফোয়ারার অংশ। পরে বারাণসী আদালত কার্বন ডেটিংয়ের দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়। তারপরেও টানা মামলা চলেছে। ASI সমীক্ষা নিয়ে চলেছে টানাপড়ে। ১৯৯১ সালে এই জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে একটি মামলা হয় বারাণসী আদালতে। সেখানে দাবি করা হয়েছিল ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটি অংশ ভেঙে এই মসজিদ তৈরি করা হয়। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে পুজোর অনুমতি চেয়ে মামলা করা হয়েছিল। মামলকারীর তরফে ASI সমীক্ষার দাবি করা হয়েছিল। তারপর থেকে একাধিক মামলা হয়েছে। এখনও চলছে সেগুলো।