Supreme Court: রাস্তা বাড়াতে ভাঙা হবে গুজরাতের ৪০০ বছর পুরনো মসজিদের একাংশ, মিলল সুপ্রিম সায়, আদালত বলল…
Mansa Masjid in Gujarat: গুজরাতের আমদাবাদের সরসপুরে অবস্থিত মানসা মসজিদ।

নয়াদিল্লি: মসজিদের একাংশ ভেঙে রাস্তা বাড়ানোয় এবার সুপ্রিম অনুমোদন। গুজরাতের আমদাবাদে অবস্থিত, ৪০০ বছর পুরনো মানসা মসজিদের একাংশ ভেঙে রাস্তা চওড়া করা হবে। গুজরাত হাইকোর্ট আগেই অনুমতি দিয়েছিল। শুক্রবার হাইকোর্টের সেই রায়ই বজায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট। পুরসভা জনস্বার্থেই রাস্তা চওড়া করছে বলে জানাল শীর্ষ আদালত। (Mansa Masjid in Gujarat)
গুজরাতের আমদাবাদের সরসপুরে অবস্থিত মানসা মসজিদ। সবরমতী রেল স্টেশনের কাছে রাস্তা চওড়া করতে মসজিদের একাংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পুরসভা জানায়, মসজিদের কিছুটা খালি জায়গা ভাঙতে হবে। মূল নির্মাণে হাত দেওয়া হবে না। সেই নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হলে গুজরাত হাইকোর্ট তাতে অনুমতি দেয়। (Supreme Court)
কিন্তু সেই মামলা পরবর্তীতে সর্বোচ্চ আদালেত এসে পৌঁছয়। শুক্রবার বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি চলাকালীন মানসা মসজিদ ট্রাস্টের আইনজীবী জানান, নমাজ পাঠের হল ভাঙার বিরোধিতা করেন। কিন্তু আমদাবাদ পুরসভার আইনজীবী আস্থা মেহতা জানান, মসজিদের খালি জায়গা এবং একটি প্ল্যাটফর্মের কিছু জায়গাই ভাঙতে হচ্ছে।
Supreme Court hears appeal against Gujarat High Court order rejecting the four-week stay plea by the Mansa Masjid Trust, clearing way for partial demolition of a 400-year-old mosque in Ahmedabad to widen a road
— Bar and Bench (@barandbench) October 17, 2025
Adv Warisha Farasat: Mosque not being affected is not correct.… pic.twitter.com/7EsVtxOEpX
আমদাবাদ পুরসভার আইনজীবী আরও জানান, রাস্তা তৈরির জন্য একটি মন্দিরও ভাঙা হয়েছে। জনস্বার্থে বাসিন্দারা স্বেচ্ছায় জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন। এতে বিচারপতিরা বলেন, “হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন দেখছি না আমরা। বিশেষ করে রাস্তা চওড়া করতে যেখানে মন্দির, বাণিজ্যিক সম্পত্তি এবং বসত বাড়িকেও ভাঙার তালিকায় রাখা হয়েছে।”
মানসা মসজিদ ট্রাস্টের আইনজীবী ওয়ারিশা ফরাসত জানান, মসজিদের ক্ষতি হবে না বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। ট্রাস্টকে বিষয়টি জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে। মসজিদটি একটি ঐতিহাসিক নির্মাণ, সেটি ভাঙলে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আবেগকে আঘাত করা হবে বলেও জানান ওয়ারিশা। আমদাবাদ প্রশাসন জানায়, ট্রাস্টকে জাানানো হয়েছিল। তাদের এক প্রতিনিধি পুরসভায় হাজিরাও দিয়েছেন।
তবে ৪০০ বছর পুরনো ওই মসজিদটি ওয়াকফ সম্পত্তি কি না, ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য কি না, তা নিয়ে কিকোনও রায় দেয়নি আদালত। বরং আদালত জানিয়েছে, ওই মসজিদ ওয়াকফ সম্পত্তি বলে যদি প্রমাণ কার যায়, সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ মিলবে। এর আগে, গত ৩ অক্টোবর গুজরাত হাইকোর্টও মসজিদের একাংশ ভেঙে ফেলায় অনুমতি দেয়।।






















