নয়াদিল্লি:  টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হতে পারবেন না সাইরাস মিস্ত্রি। দেশের  অন্যতম বৃহৎ শিল্পসংস্থা টাটা গোষ্ঠীকে  নিয়ে পাঁচ বছরের আইনি বিবাদে টাটা গোষ্ঠীর পক্ষেই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।  সংস্থাকে আদালত এনসিএলএটি-র নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর অনুমতি দিয়েছে। এনসিএলএটি সাইরাসকে চেয়ারম্যান পদে পুণর্বহাল করেছিল।


উল্লেখ্য, ২০২০-র ১০ জানুয়ারি ন্যাশনাল ল অ্যাপেলেট ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলএটি)-র রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।  
আদালত মিস্ত্রির নিয়ন্ত্রণাধীন শাপুরজি পালনজি গোষ্ঠীর ক্ষতিপূরণের আর্জি  নিয়ে কোনও আদেশ দেয়নি। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডে-র  বেঞ্চে এ ব্যাপারে ভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া চলবে। 
২০১৬-তে একটি বোর্ড মিটিয়ে মিস্ত্রিকে টাটা সন্সের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। টাটা গোষ্ঠীর অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান হন রতন টাটা। ২০১৭-র  ১২ জানুয়ারি টাটা সন্স এন চন্দ্রশেখরনকে চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেয়। তিনি ছিলেন তৎকালীন টিসিএস-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর।ওই বছরেরই ৬ ফেব্রুয়ারি মিস্ত্রিকে টাটা সন্সের বোর্ডের ডিরেক্টর পদ থেকে অপসারণ করা হয়।


মিস্ত্রি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পথ গ্রহণ করেন। ২০১৯-র ডিসেম্বরে এনসিএলএটি মিস্ত্রিকে অপসারণের সিদ্ধান্তকে ভুল বলে রায় দেয়। তাঁকে পুনর্বহালেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে  সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় টাটা গোষ্ঠী।  ২০২০-র জানুয়ারিতে এই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এদিন চূড়ান্ত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট টাটা বোর্ডের পদক্ষেপকে সঠিক আখ্যা দিয়ে এনসিএলএটি-র নির্দেশ খারিজ করে দেয়। 
অন্যদিকে, সাপুরজী পালনজী গোষ্ঠী ও সাইরাস মিস্ত্রিও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ জানানো হয় যে, যে নিয়মগুলির অপব্যবহার করে মিস্ত্রিকে সরানো হয়েছে, সেই নিয়মগুলি বাতিল করেনি এনসিএলএটি। এমনটা হলে ভবিষ্যতে একই ঘটনার পুণরাবৃত্তির আশঙ্কা থাকছে। 


মিস্ত্রির নিয়ন্ত্রণাধীন শাপুরজি পালনজির টাটা গ্রুপের অংশ টাটা সন্সে ১৮.৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছেন। শাপুরজি পালনজি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল যে, টাটা গোষ্ঠীর সমস্ত কোম্পানিতে  টাটা সন্সের যে অংশ রয়েছে, তার ১৮.৪ শতাংশ শেয়ার তাদের দেওয়া হোক। আদালত এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশ এদিন দেয়নি।