নয়াদিল্লি: অতীতে একবার স্রেফ মানবিক কারণেই (humanitarian ground) পাকিস্তানে (pakistan) ফিরিয়ে (repatriation) দেওয়া হয়েছিল তাকে। কিন্তু ফের সেই তাবারক হুসেনকে গ্রেফতার করল ভারতীয় সেনা (indian army)। অভিযোগ, পাক গুপ্তচর সংস্থার কর্নেল ইউনুস চৌধরি তাবারককে পাকিস্তানি মুদ্রায় ৩০ হাজার টাকা দিতে গিয়ে এ পারে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন। ভারতীয় পোস্টে হামলা চালাতেই এই ষড়যন্ত্র যা ভেস্তে দেয় ভারতীয় সেনা। তাবারকের গ্রেফতারির (arrest) পাশাপাশি গত দুদিনে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় অনুপ্রবেশের (infiltration bid) দুটি চেষ্টা ব্যর্থ (foil) করতে সফল দেশের নিরাপত্তাবাহিনী। তাতে মারা যায় দুই জঙ্গিও।


কী হয়েছিল? 
সেনা সূত্রে খবর. গত ২১ অগাস্ট ভোরে গ্রেফতার করা হয় তাবারককে। নৌসেরা রিজিয়নের জাঙ্গর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় দু-তিন জন জঙ্গির গতিবিধি নজরে এসেছিল সেনাবাহিনীর। তার মধ্যে এক জন ভারতীয় পোস্টের কাছাকাছি চলে আসে। ভারতের দাবি, ওই জঙ্গি কাঁটাতার কেটে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। বিষয়টি সেনাবাহিনীর নজরে আসতেই গুলি চালায় তারা। তাতেই আহত হয় ওই জঙ্গি, ধরা পড়ে বাহিনীর হাতে। তার চিকিৎসা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে অপারেশনও করা হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় বাহিনী। তবে বাকি দুজন পাক-অধিকৃত এলাকায় পালিয়ে যায়। 


কী জানাল ধৃত?
সেনা জানিয়েছে, ধৃত তাবারক হুসেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলার সবজকোট গ্রামের বাসিন্দা। তাকে জেরা করেই পাক গুপ্তচর সংস্থার কর্নেল ইউনুস চৌধরীর সঙ্গে যোগের বিষয়টি উঠে এসেছে। সেনার বক্তব্য, আগে একটি দলের সঙ্গে ভারতীয় পোস্টগুলি সম্পর্কে 'রেকি' করতে এসেছিল তাবারক। হামলা চালানোর জন্য ২১ অগাস্ট চূড়ান্ত সবুজ-সঙ্কেত পায় সে। ঘটনাচক্রে, একই সেক্টর থেকে ২০১৬ সালেও তাবারক হুসেনকে গ্রেফতার করেছিল ভারতীয় সেনা। সে বার তার সঙ্গে ধরা পড়ে তার ভাই হারুন আলিও। তবে স্রেফ মানবিকতার খাতিরে ২০১৭ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয় দুজনকেই। তার পরও ফের কেন ভারতে হামলা চালাতে এল তাবারক?নাকি গত বারও হামলা চালানোই উদ্দেশ্য ছিল তার? প্রশ্ন দানা বাঁধছে।
অন্য দিকে, গত ২২ অগাস্ট রাতে লাম সেক্টর দিকে ২-৩ জন জঙ্গির একটি দল অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে দ্রুত তৎপর হয় ভারতীয় সেনা। তারা সেনার রাখা মাইন এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। ফলে সেগুলি 'অ্যাক্টিভেট' হয়ে যায়। দুজন সেই বিস্ফোরণেই মারা যায়। নিহতদের সঙ্গীরা সম্ভবত আহত অবস্থায় পালিয়ে গিয়েছে, ধারণা সেনার। পর দিন নিহতদের দেহের হদিশ পায় কোয়াডকপ্টার। একটি এক-৫৬ রাইফেলও মিলেছে। 


আরও পড়ুন:কী বলছে কলকাতার আবহাওয়া?