নয়াদিল্লি: ক্ষমতা এবং দুর্নীতি পরস্পরের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে। প্রত্যেক দেশ থেকেই দুর্নীতির নিত্যনতুন উদাহর উঠে আসে। কিন্তু এই কঠিন সময়ে দাঁড়িয়েও কিছু দেশ নিজেদের সম্মানরক্ষা করতে সফল হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তাদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রয়েছে। ২০২৪ সালের সেই তালিকায় দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে একেবারে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে ডেনমার্ক। এই তালিকায় কোথায় দাঁড়িয়ে ভারত, সামনে এল তা-ও। (Corrupt Countries List)


দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং নিউজিল্যান্ড। Corruption Perceptions Index 2024 (CPI) এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। পৃথিবীর কোথায় রাষ্ট্রায়াত্ত ক্ষেত্রে কত দুর্নীতি, তার রিপোর্ট বের করে Transparency International নামের একটি সংস্থা। ১৮০টি দেশকে নিয়ে ২০২৪-এর রিপোর্টে তারা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। (Corruption Perceptions Index)


এই তালিকায় ৯৬তম স্থানে রয়েছে ভারত। আগের বছরের তুলনায় আরও তিন ধাপ নেমে এসেছে ভারত। তালিকায় ০ থেকে ১০০-র সূচক ব্যবহৃত হয়। ০ অর্থাৎ চরম দুর্নীতিগ্রস্ত, ১০০ অর্থাৎ দুর্নীতিমুক্ত। এবারের যে তালিকা, তাতে যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছবি ধরা পড়েছে। বোঝা যাচ্ছে, পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই দুর্নীতির শিকড় ছড়িয়ে। তবে তার মধ্যেও উন্নতির সুযোগ রয়েছে এবং বেশ কিছু দেশ উন্নতি করেওছে বলে জানানো হয়েছে এই রিপোর্টে।


এবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের স্কোর ৩৮। ২০২৩ সালে ৩৯ এবং ২০২২ সালে ৪০ স্কোর ছিল ভারতের। ২০২৩ সালে ভারত ৯৩তম স্থানে ছিল।  ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তান ১৩৫ শ্রীলঙ্কা ১২১ স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ ১৪৯তম স্থানে, চিন ৭৬তম স্থানে। আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং ভেনিজুয়েলাতেও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ২৪ থেকে ২৮তম স্থানে নেমে এসেছে আমেরিকা। ২০ থেকে ২৫-এ নেমে এসেছে ফ্রান্স। জার্মানি নেমে এসেছে ৯ থেকে ১৫তম স্থানে। ১২ থেকে ১৫-য় নেমে এসেছে কানাডা। রাশিয়া রয়েছে ১৫৪তম স্থানে। তালিকায় একেবারে নীচে রয়েছে সুদান, ১৮০তম স্থানে। সুদান সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তকমা পেয়েছে। ১৭৭তম স্থানে রয়েছে সিরিয়া। 


Transparency International জানিয়েছে, পৃথিবীর সর্বত্র দুর্নীতি এখনও বিপজ্জনক জায়গায় রয়েছে। তবে ২০১২ সাল থেকে ৩২টি দেশে দুর্নীতি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।কিন্তু ১৪৮টি দেশের অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে সেখানে।