অনির্বাণ বিশ্বাস, নয়াদিল্লি : কেন্দ্রীয় 'বঞ্চনা'র প্রতিবাদে দিল্লিতে তৃণমূল।  সোমবার থেকে শুরু দু'দিনের কর্মসূচি শুরু। মেলেনি ট্রেন, কলকাতা থেকে বাসেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। রাজধানীতে ঢুকছে একের পর এক বাস। বাংলার বঞ্চিতদের নিয়ে দিল্লির দরবারে সোমবার প্রতিবাদ জানাবে তৃণমূল। জাতীয় রাজনীতিতে প্রচলিত কথা - দিল্লির পথ যায় উত্তরপ্রদেশ হয়ে...সেই উত্তরপ্রদেশের ওপর দিয়েই দেশের রাজধানীর দিকে এগিয়েছে একের পর এক জবকার্ড হোল্ডারদের বাস!


কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে সোমবার ও মঙ্গলবার রাজধানীতে তৃণমূলের মেগা কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। দুপুর দেড়টায় রাজঘাটে যাবেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদরা। মহাত্মাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মনরেগায় বকেয়া নিয়ে সরব হবে তৃণমূল। বাংলার ভুক্তভোগীদের নিয়ে সংসদ ভবনের কাছে যেতে, ছাত্র যুব নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ' একটি সংসদ ভবন থাকা সত্ত্বেও কোটি কোটি টাকা খরচ করে নতুন সংসদ ভবন তৈরি করেছে মোদি সরকার। বাংলার ভুক্তভোগী মানুষদের দেখাতে হবে, কীভাবে তাঁদের টাকা নিয়ে মোদি সরকার নতুন সংসদ ভবন করেছে।' দিল্লিতে মন্ত্রী-সাংসদ-নেতৃত্বের সঙ্গে রণকৌশল বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 'বাংলার প্রাপ্য টাকা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পারলে আটকে দেখাও।' রবিবার দিল্লিতে রওনা দেওয়ার আগে ও রাজধানীতে নেমে, মোদি সরকার ও বিজেপিকে এই ভাষায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়


দিল্লি পৌঁছে তিনি আরও বলেন, ' আমি আবার বলছি, পারলে আমাকে আটকে দেখাও। আমি কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছি না। আমার যা বলার ছিল, বলেছি এবং চ্যালেঞ্জ করছি। দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়েও ফের এই চ্যালেঞ্জ করছি' ।  


তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার জেরে মানুষের জীবন কতটা বিপর্যস্ত, নবজোয়ার কর্মসূচির সময় উপলব্ধি করেছেন তিনি। তখনই দিল্লিতে গিয়ে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত, বৈঠকে জানিয়েছেন । এরমধ্যেই যন্তরমন্তরে তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচির জন্য লিখিত অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। বিকেলে অভিষেকের নেতৃত্বে ফের বৈঠকে বসবে তৃণমূল নেতৃত্ব। তখন মঙ্গলবারের কর্মসূচি নিয়ে হবে বিস্তারিত আলোচনা।  


তৃণমূলের এই কর্মসূচি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, ' যন্তর মন্তরে যা খুশি করুন, এপাং, ওপাং ঝপাং, আমরা সবাই কোলা ব্যাঙ, যন্তর মন্তরের বাইরে কিছু করতে যান, ওখানে কিন্তু বিনীত গোয়েল নেই, অমিত শাহের পুলিশ, লাঠির সাইজ ৬ ফুট' 

২০২৪-এর আগে তৃণমূলের এই আন্দোলন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কী প্রভাব ফেলবে, তার উত্তর তো সময় দেবে। তবে মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, বাংলার শাসকদলের প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার পথ উজিয়ে দেশের রাজধানীতে আন্দোলন করতে পৌঁছনো - রীতিমতো অভিনব!