নয়াদিল্লি: সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন আগেই। সরকারি বাংলো ছাড়তেও বলা হয়েছে। তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) আবারও বাংলো ছাড়তে নির্দেশ দিল কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটসের তরফে কার্যত হঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে মহুয়াকে। বলা হয়েছে, নিজে থেকে বাংলো না ছাড়লে মহুয়া বা আর যে-ই থাকুন না কেন ওই বাংলোয়, বাংলো খালি করতে প্রয়োজনে বল প্রয়োগও করা হতে পারে। (Mahua Moitra Eviction)


গত বছরের শেষে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভার সাংসদ পদ খোয়ান মহুয়া। মোটা টাকা এবং দামি উপহারের বিনিময়ে সংসদে আদানিদের নিয়ে তোলার অভিযোগ ছিল মহুয়ার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সংসদে প্রশ্নো জমা দেওয়ার ওয়েবসাইটের আইডি এবং পাসওয়র্ডও মহুয়া অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে মহুয়ার সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করে নীতি কমিটি। শীতকালীন অধিবেশনে তাতে সিলমোহর পড়ে। 


তার পর এক মাস কেটে গিয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, সরকারি বাংলো খালি করতে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে মহুয়াকে। কিন্তু তিনি যে নীতি বহির্ভূত ভাবে বাংলো দখল করে নেই, তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন মহুয়া। বিষয়টি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আপাতত ব্যস্ত রয়েছেন, তাই বাংলো খালি করতে আরও কিছু সময় চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস-কেই অনুরোধ জানাতে হবে মহুয়াকে। 


আরও পড়ুন: Alipurduar News: তেইশে হাতির হানায় হারিয়েছিলেন স্বামীকে, মৃত-র স্ত্রীকে নিয়োগপত্র দিল বন দফতর


দিল্লি হাইকোর্ট আরও জানায়, ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া, মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরও সরকারি বাংলোয় অতিরিক্ত ছয় মাস কাটানো যেতে পারে। তার বিনিময়ে কিছু টাকা হয়ত দিতে হতে পারে। মহুয়াকে বাংলো খালি করতে বলার ক্ষেত্রেও সেই নিয়মের পালন হওয়া উচিত। তবে এ নিয়ে হাইকোর্ট কোনও রায় দেয়নি। বরং মহুয়াকে আবেদন প্রত্যাহার করার সুযোগ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।


কেন্দ্রের তরফে মহুয়াকে বাংলো খালি করার যে নোটিস ধরানো হয়েছে, তাতে লেখা রয়েছে, বাংলো খালি করার প্রক্রিয়ায় কোনও স্থগিতাদেশ নেই। নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যেতেই পারেন মহুয়া। তবে সেক্ষেত্রে প্রতি মাসের নিরিখে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তাঁকে। সাংসদ থাকাকালীন দিল্লির টেলিগ্রাফ লেনের সরকারি বাংলোটি মহুয়ার জন্য বরাদ্দ হয়। গত ৭ জানুয়ারি সেই বরাদ্দ বাতিল করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন মহুয়া।