নয়াদিল্লি: সংসদের বাইরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে (Dhankhar Mimicry Row) অনুকরণ করে দেখিয়েছেন। সেই নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক তুঙ্গে। তার মধ্যেই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তাঁর দাবি, কাউকে অনুকরণ করা এক রকমের শিল্প। ধনকড়ের উচিত তাঁর এই গুণকে সম্মান জানানো।
সংসদ থেকে গণহারে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে দিল্লিতে প্রতিবাদ চলছে। মঙ্গলবার সংসদের বাইরে মক পার্লামেন্টও বসান বিরোধী সাংসদরা। সেখানেই ধনকড়কে অনুকরণ করেন কল্যাণ। তাঁর অভিনয় ক্যামেরাবন্দি করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। সেই নিয়ে বিতর্ক শুরু হতে সময় লাগেনি।
সেই আবহেই বুধবার মুখ খুললেন কল্যাণ। তাঁর বক্তব্য, "কাউকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। মিমিক্রি (কাউকে অনুকরণ) এক রকমের শিল্প। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত, প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী নিজে তো লোকসভায় মিমিক্রি করেছেন! ভিডিও দেখাতে পারি। এসবকে কেউ গুরুত্ব দেন না। এখন গুরুত্ব দিলে কিছু করার নেই। আমার প্রতি সম্মান থাকা উচিত ধনকড়ের। উনি আর আমি একই পেশায় রয়েছি। উনিও সিনিয়র আইনজীবী, আমিও। উনি আহত হয়ে থাকলে...জানি না কেন আহত হলেন উনি।"
ধনকড়ের অনুকরণের বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে ফোন করেছেন ধনকড়কে। ২০ বছর ধরে তাঁকেও এমন অপমানের শিকার হতে হতে হয়েছেন বলে ধনকড়কে জানিয়েছেন মোদি। কিন্তু কল্যাণের দাবি, ২০ বছর আগে সংসদেই ছিলেন না তিনি। তাই অতীতের সঙ্গে তাঁর নাম জোড়া যুক্তিহীন। ধনকড়ের কাছে কি ক্ষমা চাইবেন কল্যাণ? উত্তর দেননি কল্যাণ।
গোটা বিতর্কে কল্যাণের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। তৃণমূলের তরফে মুখ খুলেছেন ফিরহাদ হাকিমও। গতকাল এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ জানান, মক পার্লামেন্ট নতুন কোনও বিষয় নয়। সংসদের ভিতরে কথা বলার সুযোগ না পেয়ে, বাইরে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। এতে ব্যক্তিগত অপমানের পরিসরই নেই। তবে ফিরহাদ কল্যাণের পাশে থাকলেও, দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোদির যে বৈঠক হয়েছে বকেয়া নিয়ে, সেই প্রতিনিধি দল থেকে কল্যাণের নাম শেষ মুহূর্তে বাদ দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।