তিরুঅনন্তপুরম: এলাকায় ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির সুবিধা নেই। বাধ্য হয়ে অনলাইন ক্লাস করতে প্রতিদিন ৬ কিলোমিটার দূরে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। এমনই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কেরলের ইডুকি রাজামালার ছাত্ররা। 


কোভিডকালে পড়াশোনায় বাদ সাধছে লকডাউন। স্কুল-কলেজে শারীরিক উপস্থিতির পরিবর্তে ভরসা অনলাইন ক্লাস। সেক্ষেত্রে সমস্যা বাড়াচ্ছে ইন্টারনেট পরিষেবা। দেশের বহু জায়গায় ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি উন্নত না হওয়ায় ফল ভুগতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। সেরকমই হাল হয়েছে কেরলের ইডুকি রাজামালার ছাত্রদের। ইন্টারনেট পরিষেবা দুর্বল হওয়ায় অনলাইন ক্লাস করতে রোজ যেতে হচ্ছে ৬ কিলোমিটার। আপাতত এরাভিকুলামের ন্যাশনাল পার্কের কাছে বসেই ক্লাস করছে পড়ুয়ারা।


এ প্রসঙ্গে ইডুকির দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অরুণ জানিয়েছেন, সকালে ক্লাস করতে অটোতেই চলে আসেন তাঁরা। বিকেলে বাড়ি যাওয়ার সময় হেঁটেই ফেরেন সবাই। রাজামালায় ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি নেই বললেই চলে। কিছু জায়গায় ইন্টারনেটের সুবিধা থাকলেও স্পিড খুবই দুর্বল। প্রতিদিন ইন্টারননেটের সুবিধা পেতে ৬ কিলোমিটার আসতে অনেক সমস্যা হয়। অনেক সময় অনলাইন ক্লাসের মাঝেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। যার জেরে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় পড়ুয়াদের।


দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, কোভিডকালে পড়ুয়াদের সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যগুলি। সেক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাসেই চলছে পঠন-পাঠন। শহরের বুকে ইন্টারনেটের কানেক্টিভিটির সুবিধা থাকায় সমস্যা হচ্ছে না খুব একটা। তবে ধীর গতির ইন্টারনেট ও কানেক্টিভিটির অভাব ভোগাচ্ছে গ্রামের পড়ুয়াদের। অনেক সময় অনলাইন ক্লাস করতে স্কুলে আসতে হচ্ছে তাদের।


এ ছাড়াও ইন্টারনেটের সুবিধা পেতে সমস্যা বাড়াচ্ছে বিদ্যুতের অভাব। দেশের বহু জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। তাই সেই জায়গায় ইন্টারনেট না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। শেষে যার ফল ভুগতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। এমনিতেই গত ২ বছর ধরে সিলেবাস শেষ করতে কালঘাম ছুটছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির। পঠন-পাঠনের সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টাও মাথায় রাখতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ বা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে।


কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড রিপোর্ট বলছে, দ্বিতীয় করোনার ঢেউ মারাত্মক ক্ষতি করেছে দেশের। সংক্রমণের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সেক্ষেত্রে কোভিডে বাবা-মাকে হারিয়ে অনাথ হয়েছে বহু শিশু। বর্তমান সামজে অসুরক্ষিত হয়ে পড়েছে সেইসব অনাথ শিশুদের ভবিষ্যৎ। 'ন্যাশনাল মিশন অফ প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস' (NCPCR)-এর তথ্য বলছে, দেশে এখন এমন অভিভাবকহীন শিশুর সংখ্যা ৯৩৪৬ জন। যাদের পড়াশোনার জন্য মাসিক টাকার ব্যবস্থা করেছে সরকার।