কলকাতা: নির্বাচনী রণকৌশল থেকে ছোটখাটো ব্যাপারে দু’জনের বোঝাপড়ার সুখ্যাতি শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) সেই বোঝাপড়াকে এ বার আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন। প্রশান্ত-ঘনিষ্ঠ পবন কে বর্মাকেই (Pavan K Varma) এ বার দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি নিযুক্ত করলেন মমতা। রবিবার থেকেই তাঁর হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে।
পবন বর্মা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) দল সংযুক্ত জনতা দল (JDU)-এর সদস্য ছিলেন। দলের রাজ্যসভা সাংসদও ছিলেন। নীতীশের উপদেষ্টাও ছিলেন পবন। আর জেডিইউ-এর সহ-সভাপতি ছিলেন প্রশান্ত। বিজেপি-র সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্তে দু’জনেই নীতীশের সমালোচনায় মুখ খুলতে শুরু করেন। তার জেরে দু”জনকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এর পরই বাংলায় বিজেপি-কে রুখতে মমতার হাত ধরেন প্রশান্ত। প্রতিশ্রুতি মতোই এ বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে দুই অঙ্কের আসনে আটকে ফেলতে সফল হয় তাঁর রণকৌশল। তার পর থেকেই মমতা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দহরম মহরম প্রশান্তর। ত্রিপুরা এবং গোয়াতেও তৃণমূলের জমি তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠ পবন মমতার দলের সহ সভাপতি নিযুক্ত হওয়ায় তৃণমূলে প্রশান্তর গুরুত্বও বাড়ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এ নিয়ে দলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: পটেল থাকলে আরও আগে পর্তুগিজ শাসনমুক্ত হতো গোয়া: মোদি
মাসখানেক আগে, তৃণমূলে যোগ দেন পবন। এর পর রবিবার লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে সহ-সভাপতি পদে প্রশান্তর নিযুক্তি ঘোষণা করে তৃণমূল। তাতে বলা হয়, ‘দলনেত্রী পবন কে বর্মাকে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি নিযুক্ত করেছেন। তাঁর জ্ঞান এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তৃণমূলকে পথ দেখাবে।’
তৃণমূলে চেয়ারপার্সন মমতাকে ছাড়া বাকি সব পোস্টই ‘ল্যাম্পপোস্ট’ বলে বিরোধীরা প্রায়শই কটাক্ষ করে থাকেন। তাই পবনের নিযুক্তি নিয়ে সে ভাবে মাথা ঘামাতে চাইছেন না কেউ। বরং আগামী তিনি কী দায়িত্ব পান, সে দিকেই তাকিয়ে সকলে। এর আগে, যশবন্ত সিনহাকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি নিয়োগ করে তৃণমূল। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ। তার মধ্যেই পবনের নিযুক্তির ঘোষণা হল।