নয়া দিল্লি : ভারতে রেসিডেন্ট গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ করল ট্যুইটার। বিনয় প্রকাশকে ওই পদে বসানো হয়েছে। ট্যুইটারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একথা জানানো হয়েছে।


এই মাইক্রোব্লগিং সাইট জানিয়েছে, রেসিডেন্ট গ্রিভ্যান্স অফিসারের সঙ্গে এই ইমেল আইডি- grievance-officer-in@twitter.com.-তে  যোগাযোগ করা যাবে।


বৃহস্পতিবারই ট্যুইটারের তরফে দিল্লি হাইকোর্টকে জানানো হয়, ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন মেনে চিফ কমপ্ল্যায়েন্স অফিসার নিয়োগ করতে তাদের আট সপ্তাহ সমস লাগবে। এর পাশাপাশি সংস্থার তরফে জানানো হয়, তারা ভারতের এক বাসিন্দাকে অভ্যন্তরীণ কমপ্ল্যায়েন্স হিসেবে হায়ার করেছে। ৬ জুলাই থেকে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। এবিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।


গত বৃহস্পতিবার ট্যুইটারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা নেই বলে জানিয়ে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত জানায় যে, এই মাইক্রো-ব্লগিং সাইট নতুন আইটি বিধি লঙ্ঘন করলে কেন্দ্র তার বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে। বিচারপতি রেখা পল্লীর বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে জানায়, এটা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, এই আদালত কোনও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ পাশ করেনি। সুতরাং এই আদালত আরেক উত্তরদাতাকে হলফনামা দাখিল করার জন্য সময় দিয়েছে, কোনও সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। আদালত আরও যোগ করে, বিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রের পথ খোলা রয়েছে।


ট্যুইটারের পক্ষ থেকে হয়ে আইনজীবী সাজান পূবায়া জানান, কোনও সুরক্ষা চাওয়া হচ্ছে না। অমান্য করার পরিণতি হিসেবে মধ্যস্থতাকারীদের সুরক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। ট্যুইটারে Inc-র একজন উপযুক্ত কর্মকর্তার নোটারিড অ্যাফিডেভিট দাখিল করার জন্য আদালত ট্যুইটারকে দুই সপ্তাহের সময়ও মঞ্জুর করে। আদালতকে ট্যুইটার জানিয়েছিল যে, একজন অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার (সিসিও) ইতিমধ্যেই নিয়োগ করা হয়েছে। এরপরে জুলাইয়ের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন অভিযোগকারী কর্মকর্তা (আরজিও) নিয়োগ করবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তী নোডাল কনট্যাক্ট অফিসার নিয়োগ করা হবে। উচ্চ আদালত টুইটারকে নির্দেশ দিয়েছিল যে, নতুন আইটি নিয়ম মেনে কবে তারা কোনও নিয়োগ করবে তা জানাতে হবে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে।